অনলাইন ইনকাম

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা

আপনি যদি খুব কম সময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চান, তাহলে কিছু বিস্তৃত অ্যাপসে কাজ করে দিনে ৩০০ টাকার বেশি আয় করতে পারেন। এ সব অ্যাপে খুব অল্প সময় কাজ করে অনেক টাকা আয় করা যায়।বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজাআজকের পোস্টে বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা?

নিচে বাড়িতে বসে না থেকে এই অ্যাপ গুলো দিয়ে দিনে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ

  • Upwork
  • Zoom workplace
  • Fiverr
  • YSense
  • Freelancer
  • Canvas
  • Facebook
  • YouTube
  • Alamy
  • Telegram

১. Upwork

অনলাইনে টাকা আয় করার বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সেরা মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস। আপনারা চাইলে এই মার্কেটকপ্লেস থেকে খুব সহজেই দিনে ৩০০ টাকা আয় করতে পারেন। আর এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের বায়ার পাওয়া যায়, যারা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দেন।

এ মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা আয় করেন। আপনি যদি এ মার্কেটপ্লেসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে প্রথমত আপনাকে এ সেক্টরে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা আয় app

যেমনঃ লোগো ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও , ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, ভিডিও প্রোডাকশন, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি।

আর এ কাজ গুলোর মধ্যে যেকোন একটিতে আপনাকে প্রথমত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এরপর এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে আপনার কিছু কাজের নমুনা উল্লেখ করতে হবে।

এরপর বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্টের জন্য বিট করতে হবে, যাতে করে আপনি খুব সহজেই কাজ পাওয়ার জন্য সুযোগ পান। আশা করি আপনি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে খুব সহজেই আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

২. Zoom Workplace

জুম অ্যাপ মূলত অনলাইন মিটিং এবং ওয়েবিনারের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, আপনার দক্ষতা এবং ক্রিয়েটিভিটির সাহায্যে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। জুম দিয়ে আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায়ঃ

অনলাইন ক্লাস বা কোর্স

আপনি যদি কোন বিষয়ে খুবেই দক্ষ হন, তাহলে জুম ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস বা কোর্স নিতে পারেন। এটি হতে পারে ভাষা শেখানো, মিউজিক শেখানো, কোডিং শেখানো, ফিটনেস ট্রেনিং দেওয়া ইত্যাদি।

কনসাল্টিং সার্ভিস

আপনার বিশেষজ্ঞতা অনুযায়ী ক্লায়েন্টদের কাছে কনসাল্টিং সার্ভিস দিতে পারেন। জুমের মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

ওয়েবিনার হোস্ট করা

আপনি কোনো বিষয়ে ওয়েবিনার হোস্ট করে তাতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ফি নিতে পারেন।

অনলাইন ইভেন্ট

আপনি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইভেন্ট, যেমন কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি আয়োজন করে তাতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি নিতে পারেন।

অনলাইন থেরাপি বা কাউন্সেলিং

যদি আপনি একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর হন, তাহলে জুমের মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে অনলাইন থেরাপি সেশন করতে পারেন।

অনলাইন মিটিং ফ্যাসিলিটেটর

অনেক কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের মধ্যে অনলাইন মিটিং করার জন্য ফ্যাসিলিটেটর খুঁজে থাকে। আপনি এই কাজটি করে আয় করতে পারেন।

৩. Fivver

বর্তমান সময়ে বিশ্বের জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Fivver। এই মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি সেক্টর, যেখানে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পাওয়ার জন্য সর্বদা প্রতিযোগিতা করেন।

এ মার্কেটপ্লেস লোগো ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও, ভয়েস, প্রোগ্রামিং, ইউটিউব ভিডিও তৈরি, ব্যানার ডিজাইন, এআই, ভিডিও এডিটিং, ইউটিউব থামলাইন তৈরি,

ফেসবুকে ভিডিও তৈরি, অ্যানিমেশন, ভিডিও প্রোডাকশন, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ ফিল্যান্সারদের দেওয়া। আপনি যদি এই কাজ গুলো করতে দক্ষ হন, তবে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকা ডিপোজিট সাইট

৪. Ysense

Ysense হলো এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা আয় করছেন। আর এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনিও চাইলে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই অ্যাপে বিভিন্নভাবে টাকা আয় করার সুযোগ আছে।

এর মধ্যে ওয়েবসাইট ভিজিট, সাইন আপ করা, কেনাকাটা করা, সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা, অ্যাড দেখা ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করে টাকা আয় করতে পারেন।

৫. Freelancer

বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ফিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলো ফ্রিল্যান্সার.কম। এ ওয়েবসাইটটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এ মার্কেটপ্লেসে পোস্টার ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ইউটিউব ভিডিও তৈরি, ব্যানার ডিজাইন, এআই, ভিডিও এডিটিং, ইউটিউব থামলাইন তৈরি, লোগো ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও, ভয়েস, প্রোগ্রামিং,

ফেসবুকে ভিডিও তৈরি, অ্যানিমেশন, ভিডিও প্রোডাকশন, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ ফিল্যান্সারদের দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা এই অ্যাপে একাউন্ট তৈরি করে রেখেছেন।

অনলাইন সেক্টরের যত ধরনের কাজ আছে এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি কাজের বায়ার সহজে পাওয়া যায়। আপনি যে কাজে খুবেই দক্ষ সেই কাজের বায়ার খুঁজে কন্টাক্ট নিয়ে ফ্রিল্যান্সার অ্যাপে সহজে কাজ করতে পারেন।

৬. Canva

বর্তমান সময়ে ক্যানভা অ্যাপ দিয়ে ভিডিও ও ফটো এডিটিং করা খুবেই সহজ। আপনি যদি ক্যানভা দিয়ে প্রো লেভেলের ভিডিও ও ফটো এডিটিং করতে পারেন। তাহলে ক্যানভা অ্যাপ দিয়ে ভিডিও ও ফটো এডিটিং সার্ভিস দিয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।

৭. Facebook

আপনি যদি ফেসবুকে ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, মানুষ যদি আপনার ভিডিও দেখে খুব পছন্দ করেন। তাহলে আপনি সেই ভিডিও কনটেন্ট থেকে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।

তবে মানুষ যে বিষয়ের ভিডিও গুলো দেখতে খুব আগ্রহী সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আর এভাবে নিয়মিত ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক আপলোড করে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৮. YouTube

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যালেন তৈরি করতে হবে। এবং মানুষ যে ভিডিওগুলো ইউটিউবে দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে, সেই সম্পর্কিত ভিডিও গুলো ইউটিউবে নিয়মিত আপলোড করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ২ থেকে ৩ টি ভিডিও আপলোড করতে হবে।

নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর আপনার যখন সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তখন আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করবেন। এরপর যখন আপনি ইউটিউবে গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। তখন ইউটিউব থেকে আপনার টাকা ইনকাম শুরু হবে।

আরও পড়ুনঃ ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

৯.  Alamy

অ্যালামি হলো একটি স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট। যেখানে বিশ্বের নামকরা ফটোগ্রাফাররা তাদের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন। আর তাই আপনি যদি তাদের মতো ফটোগ্রাফি করতে খুব বেশি পছন্দ করেন। তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য টাকা ইনকামের একটি মাধ্যম হতে পারে।

১০. Telegram

টেলিগ্রাম হচ্ছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। যা কেবল যোগাযোগের জন্যই ব্যবহার করা হয় না। বরং আপনি যদি চান, তাহলে এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারেন। নিচে টেলিগ্রাম থেকে টাকা আয় করার কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় দেওয়া হলোঃ

১. চ্যানেল তৈরি করে

বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন

আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন, সেই বিষয়ে একটি চ্যানেল তৈরি করুন। এটি হতে পারে খাবার, ফ্যাশন, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, জীবনবিধান ইত্যাদি।

নিয়মিত পোস্ট করুন

আপনার চ্যানেলে নিয়মিত এবং মানসম্পন্ন কনটেন্ট পোস্ট করুন। এটি আপনার ফলোয়ারদের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে।

মনিটাইজেশন

বিজ্ঞাপন

আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে পারেন।

স্পনসরশিপ

কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি আপনার চ্যানেলে স্পনসরশিপ দিতে পারে।

পেইড গ্রুপ

আপনার চ্যানেলের একটি অংশ পেইড করে দিতে পারেন এবং সেখানে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দিতে পারেন।

প্রোডাক্ট বিক্রয়

আপনি যদি কোনো পণ্য বিক্রি করেন, তাহলে সেটির প্রচার আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে করতে পারেন।

২. গ্রুপ তৈরি করে

বিশেষ গ্রুপ

কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে এবং সেখানে সদস্যদের যোগ করে ফি নিতে পারেন।

সার্ভিস প্রদান

গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে টাকা আয় করতে পারেন।

৩. বট তৈরি করে

বট বিক্রয়

আপনি নিজে বট তৈরি করে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

বট রেন্ট

আপনার তৈরি বট অন্যকে রেন্টে দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যের পণ্য

অন্য কোম্পানির পণ্য গুলো বিক্রি করে কমিশন আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ লটারি জেতার উপায়

নিয়মিত এক্টিভ থাকুন

আপনার চ্যানেল বা গ্রুপে নিয়মিত এক্টিভ থাকুন এবং আপনার ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

মানসম্পন্ন কনটেন্ট দিন

আপনার কনটেন্ট যেন মানসম্পন্ন এবং আকর্ষণীয় হয়।

প্রমোশন করুন

আপনার চ্যানেল বা গ্রুপটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রমোশন করুন।

অন্যদের সাথে কলাবরেট করুন

অন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে কলাবরেট করে আপনার রিচ বাড়াতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button