সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু
বাংলাদেশ সরকার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
বিশেষ করে, গাজীপুরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযানটি যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)।তারা একযোগে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও দমন করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ অপারেশন ডেভিল হান্ট কি
অভিযানের প্রাথমিক ধাপে গাজীপুর থেকে ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান দীর্ঘমেয়াদী হবে এবং সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।