ইসলাম

রমজানের রুটিন কেমন হওয়া উচিত

রমজান মাস একটি পবিত্র ও বরকতময় সময়, যা আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে কাটানো উচিত। এই মাসের প্রতিটি মুহূর্ত যেন সার্থক হয়, সে জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক অনুসরণ করা যেতে পারে।রমজানের রুটিন কেমন হওয়া উচিতআজকের আর্টিকেলে রমজানের রুটিন কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

রমজানের রুটিন কেমন হওয়া উচিত?

সেহরি ও ফজর

  • সুন্নত অনুসারে শেষ রাতে সেহরি খাওয়া।
  • ফজরের নামাজ আদায় করা এবং এরপর কুরআন তিলাওয়াত বা জিকির করা।

সকাল ও দুপুর

  • দুনিয়াবি কাজকর্ম বা পড়াশোনা করা, তবে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা।
  • সুযোগ পেলে অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়া (যেমন: চাশতের নামাজ)।
  • দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা এবং দান-সদকা করা।

বিকাল ও আসর

  • আসরের নামাজের পর কুরআন তিলাওয়াত বা ইসলামী বই পড়া।
  • দোয়া ও জিকিরের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি করা।
  • ইফতারের প্রস্তুতি নেয়া, তবে অপচয় করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ সাওমের প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হয়

ইফতার ও মাগরিব

  • সুন্নত অনুসারে খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা।
  • মাগরিবের নামাজ আদায় করা এবং এরপর প্রয়োজনীয় আমল করা।

এশা ও তারাবিহ

  • এশার নামাজের পর তারাবিহ নামাজ আদায় করা (এটি সুন্নতে মুআক্কাদাহ)।
  • রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করা।

রমজানে করণীয় কিছু ভালো কাজ?

  • নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা।
  • প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করা ও অর্থ বোঝার চেষ্টা করা।
  • গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা ও দান-সদকা করা।
  • মিথ্যা, গিবত, গালি-গালাজ ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকা।
  • আত্মসংযম ও ধৈর্য চর্চা করা।
  • পরিবারের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা ও ইসলামি জ্ঞান চর্চা করা।

শেষ কথা

এই নিয়ম মেনে চললে রমজান শুধু রোজা রাখার মাসই হবে না, বরং আত্মগঠন, পাপমুক্তি ও আল্লাহর রহমত লাভের শ্রেষ্ঠ সুযোগ হয়ে উঠবে। সবাইকে ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button