কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না
রোজা ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আত্মসংযম, তাকওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্পর্ক এবং অন্য কোনো রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে এটি পালন করা হয়।তবে অনেক সময় কিছু বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যেমনঃ কোন কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না। ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট কাজ আছে, যা করলে রোজা অক্ষত থাকে এবং কোনো প্রকার কাফফারা বা কাজা করার প্রয়োজন হয় না।
রোজা পালনকারী ব্যক্তির জন্য এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি, যাতে তিনি অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ বা বিভ্রান্তিতে না পড়েন।
কি কি কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না?
রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কিছু কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
১. অজ্ঞতা বা ভুলে যাওয়া
যদি কেউ রোজা রাখার কথা ভুলে যায় এবং কিছু খায় বা পান করে, তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয় না। হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি রোজা রাখার কথা ভুলে গিয়ে খায় বা পান করে, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে, কারণ আল্লাহ তাকে খাওয়ালেন ও পান করালেন।” (সহীহ বুখারী)
আরও পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps | দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps গুলোর নাম 2025
২. স্বপ্নদোষ
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না, কারণ এটি অনিচ্ছাকৃত ঘটে।
৩. অনিচ্ছাকৃত বমি
যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
৪. পানি বা ধুলোবালি গিলে ফেলা
অনিচ্ছাকৃতভাবে জল বা ধুলোবালি গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হয় না।
৫. রক্তদান বা রক্ত পরীক্ষা
রক্তদান বা রক্ত পরীক্ষার কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না, কারণ এটি রোজার উপর প্রভাব ফেলে না।
৬. ইনজেকশন
চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না, তবে শর্ত হলো এটি পুষ্টিকর ইনজেকশন না হওয়া।
৭. কুলি করা বা নাকে পানি দেওয়া
কুলি করা বা নাকে পানি দেওয়ার সময় যদি পানি গলায় চলে যায় অনিচ্ছাকৃতভাবে, তাহলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
৮. ধূমপান বা ধোঁয়া
অনিচ্ছাকৃতভাবে ধূমপান বা ধোঁয়া গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
৯. চোখে ড্রপ দেওয়া
চোখে ড্রপ দেওয়া বা কানে তেল দেওয়া রোজা ভঙ্গ করে না, কারণ এটি পেটে পৌঁছায় না।
আরও পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে আয়
১০. অনিচ্ছাকৃত গালগল্প বা ঝগড়া
রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত গালগল্প বা ঝগড়া করলে রোজা ভঙ্গ হয় না, তবে এগুলো রোজার পবিত্রতা নষ্ট করে।
শেষ কথা
রোজা ভঙ্গ না হওয়ার মূল কারণ হলো অনিচ্ছাকৃত বা ভুলে যাওয়া কাজ, যা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে কাফফারা বা কাজা আদায় করতে হবে।