মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ
নারী ও পুরুষের জন্য রোজা ভঙ্গের কারণগুলো মূলত একই, তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থা নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।আজকের আর্টিকেলে মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ?
নিচে নারীদের জন্য রোজা ভঙ্গের প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
১. ঋতুস্রাব (মাসিক) ও প্রসব-পরবর্তী নিফাস
- যদি রোজার সময় মাসিক শুরু হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
- নিফাস (প্রসব-পরবর্তী রক্তস্রাব) থাকাকালীন রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
- এসব অবস্থায় রোজা কাজা (পরে রাখা) করতে হবে, তবে কাফফারা দিতে হবে না।
আরো পড়ুনঃ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা আয়
২. ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া বা পান করা
ভুলক্রমে খেলে রোজা ভাঙবে না, তবে ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানি পান করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই দিনের রোজা কাজা করতে হবে।
৩. স্বামী-স্ত্রীর সহবাস (যৌন সম্পর্ক স্থাপন)
রোজার সময় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা দিতে হবে (একটানা ৬০ দিন রোজা রাখা বা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো)।
৪. হস্তমৈথুন বা কামনার ফলে বীর্যপাত হলে
যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কামনা উদ্রেক করে এবং বীর্যপাত ঘটে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা করা লাগবে।
৫. বমি করা
ইচ্ছাকৃতভাবে (জোর করে) বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে অবচেতনভাবে বমি হলে রোজা ভাঙবে না।
৬. রক্ত নেওয়া বা দেওয়া (অতিরিক্ত পরিমাণে)
বেশি পরিমাণে রক্ত দিলে বা নিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
৭. ওষুধ বা ইনজেকশন গ্রহণ
যে কোনো খাবার বা পুষ্টিকর ইনজেকশন গ্রহণ করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে ইনসুলিন বা নন-নিউট্রিশনাল ইনজেকশন দিলে রোজা ভাঙবে না।
আরও পড়ুনঃ বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
শেষ কথা
নারীদের জন্য রোজা ভঙ্গের কারণগুলো শরিয়ত নির্ধারিত। মাসিক বা প্রসব-পরবর্তী নিফাস অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ, তবে পরবর্তীতে তা কাজা করা ফরজ। রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, তাই এসব বিধান মেনে রমজান পালন করা উচিত।