তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত আরবিতে
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। আর রমজান মাসে তারাবির নামাজ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা (নিয়মিত পালনীয় সুন্নত) এবং রাতের বেলা কিয়ামুল লাইলের (রাতের ইবাদত) অংশ।
তারাবির নামাজের প্রতিটি রাকাতে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মুসলমানরা আত্মশুদ্ধি অর্জন করে। তারাবির নামাজের সঙ্গে সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট দোয়া আবশ্যক নয়, তবে চার রাকাত পর বিরতির সময় প্রচলিত কিছু দোয়া পড়া হয়।এসব দোয়ায় আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর রাজত্বের ঘোষণা এবং গুনাহ থেকে মুক্তির আবেদন করা হয়। যদিও এটি সুন্নাহ দ্বারা সরাসরি প্রমাণিত নয়, তবে আল্লাহর প্রশংসাসূচক দোয়া হওয়ায় এটি পড়া বৈধ।
তারাবির নামাজের সময় দোয়া ও ইস্তেগফার করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। মুসলিমরা এ সময় কুরআন ও হাদিস থেকে দোয়া, তাসবিহ ও ইস্তেগফার পড়তে পারেন, যা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমতের আশা জাগায়।
তারাবির নামাজের দোয়া?
নিচে তারাবির নামাজের দোয়া হলোঃ
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
এই দোয়াটি তারাবির নামাজের চার রাকাত পর বিরতির সময় অনেক মসজিদে পড়া হয়। এটি আল্লাহ তাআলার প্রশংসাসূচক দোয়া, যা মূলত তাঁর রাজত্ব, শক্তি ও মহিমার বর্ণনা করে।
উচ্চারণঃ
“Subḥāna dhil-mulki wal-malakūt, subḥāna dhil-‘izzati wal-‘aẓamati wal-haybati wal-qudrati wal-kibriyā’i wal-jabarūt. Subḥānal-malikil-ḥayyi alladhī lā yanāmu wa lā yamūt abadan abada; subbūḥun quddūs, rabbunā wa rabbu al-malā’ikati war-rūḥ.”
অর্থঃ
“সকল রাজত্ব ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ পবিত্র ও মহান। তিনি সম্মান, মহত্ত্ব, গাম্ভীর্য, শক্তি, গৌরব ও প্রতাপের মালিক। তিনি চিরঞ্জীব রাজা, যিনি কখনো ঘুমান না এবং কখনো মৃত্যুবরণ করেন না। তিনি সর্বদা পবিত্র, মহাপবিত্র, আমাদের এবং ফেরেশতাদের ও জিবরাঈল (আ.)-এর প্রতিপালক।”
বিধানঃ
এই দোয়া পড়া বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি একটি প্রচলিত দোয়া, যা অনেক জায়গায় তারাবির বিরতির সময় পড়া হয়। চাইলে এই দোয়া পড়া যেতে পারে, আবার না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। এই সময় কুরআন ও হাদিস থেকে অন্য দোয়া, তাসবিহ, ইস্তেগফার বা দুরুদ পড়াও উত্তম।
তারাবি নামাজের মোনাজাত?
নিচে তারাবি নামাজের মোনাজাত দেওয়া হলোঃ
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণঃ ‘
সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
উচ্চারণঃ
“Subḥāna dhil-mulki wal-malakūt, subḥāna dhil-‘izzati wal-‘aẓamati wal-haybati wal-qudrati wal-kibriyā’i wal-jabarūt. Subḥānal-malikil-ḥayyi alladhī lā yanāmu wa lā yamūt abadan abada; subbūḥun quddūs, rabbunā wa rabbu al-malā’ikati war-rūḥ.”
অর্থঃ
“সকল রাজত্ব ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ পবিত্র ও মহান। তিনি সম্মান, মহত্ত্ব, গাম্ভীর্য, শক্তি, গৌরব ও প্রতাপের মালিক। তিনি চিরঞ্জীব রাজা, যিনি কখনো ঘুমান না এবং কখনো মৃত্যুবরণ করেন না। তিনি সর্বদা পবিত্র, মহাপবিত্র, আমাদের এবং ফেরেশতাদের ও জিবরাঈল (আ.)-এর প্রতিপালক।”
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ
এই দোয়াটি তারাবির নামাজের চার রাকাত পর বিরতির সময় অনেক মসজিদে পড়া হয়। এটি একটি প্রচলিত দোয়া হলেও ফরজ বা আবশ্যিক নয়। মূলত এটি আল্লাহ তাআলার মহিমা ও গুণাবলির প্রশংসাসূচক দোয়া।
বিধানঃ
এ দোয়াটি পড়া সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়, তবে এটি পড়তে কোনো বাধা নেই। চাইলে পড়া যেতে পারে, আবার না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। তারাবির বিরতির সময় কুরআন ও হাদিস থেকে অন্য দোয়া, তাসবিহ বা ইস্তেগফার করাও উত্তম।