তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে
রমজান মাস ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসে মুসলিমরা সিয়াম বা রোজা পালন করে থাকে, যা ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে একটি। রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ একটি বিশেষ ইবাদত হিসেবে পরিচিত, যা রাতের বেলা পড়া হয়।অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, তারাবিহ নামাজ না পড়লে কি রোজা শুদ্ধ হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে ইসলামী শরীয়তের দিকনির্দেশনা এবং রোজা ও তারাবিহ নামাজের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে হবে।
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
হ্যাঁ, তারাবির নামাজ না পড়লেও রোজা সহীহ হবে। রোজা রাখার জন্য মূল শর্ত হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহ পানাহার ও অন্যান্য রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকা।
তবে, তারাবির নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত, যা রমজান মাসে পড়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে আদায় করেছেন এবং সাহাবীদেরও উৎসাহিত করেছেন। তাই তারাবি না পড়া গুনাহ না হলেও, একটি বড় সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার শামিল।
তারাবিহ নামাজের গুরুত্ব?
তারাবিহ নামাজ রমজান মাসের একটি সুন্নত ইবাদত। এটি নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত, তবে রমজানের বিশেষ গুরুত্বের কারণে এটি অনেকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
নবী মুহাম্মদ (সা.) তারাবিহ নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামও এটি পালন করেছেন। তবে এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়, বরং একটি সুন্নত ইবাদত।
রোজার শর্তাবলি?
রোজা পালনের জন্য ইসলামী শরীয়তে কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। যেমনঃ
- সিয়ামের নিয়ত করা।
- সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং রোজা ভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।
- রোজা ভঙ্গকারী কোনো কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে না করা।
আরও পড়ুনঃ তারাবি নামাজ কি | তারাবির নামাজের ইতিহাস
শেষ কথা
তারাবিহ নামাজ রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদত, তবে এটি রোজার শর্ত বা ফরজ অংশ নয়। তাই তারাবিহ নামাজ না পড়লেও রোজা শুদ্ধ হবে।
তবে রমজানের পূর্ণতা ও আধ্যাত্মিক সুফল লাভের জন্য তারাবিহ নামাজ পড়া উচিত। এটি রমজানের রাতগুলোকে ইবাদত ও ধ্যানে সমৃদ্ধ করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি উত্তম মাধ্যম।