ইসলাম

রোজাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কি

রোজার মধ্যে মেসওয়াক করার হুকুম হলো, এটি যদি একে অপরের জন্য কোনো ক্ষতি বা রোজা ভাঙার কারণ না হয়, তবে ইহা করা যেতেই পারে। তবে যদি মেসওয়াকের সময় মুখে কোনো ধরনের পানি বা মিষ্টি উপাদান চলে আসে যা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে, তবে সাবধানে করা উচিত।রোজাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কিসাধারণত, রোজার অবস্থায় মেসওয়াক করা হালাল এবং এতে রোজা ভাঙে না, তবে মুখের মধ্যে কোনো কিছু চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে।

রোজাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কি?

রোজার মধ্যে মেসওয়াক (মুখ পরিষ্কার করার জন্য সিলিকা বা কাঠি ব্যবহার) করা শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ এবং রোজা ভাঙে না। তবে এর কিছু শর্ত এবং বিধি রয়েছে, যা মনে রাখা উচিতঃ

১ রোজা ভাঙবে না

মেসওয়াক করার মাধ্যমে যদি মুখে কোনো ধরনের পানি বা মিষ্টি উপাদান চলে না যায়, তবে রোজা ভাঙবে না। তাই, মেসওয়াক করার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন কিছু কিছু মুখের মধ্যে প্রবেশ না করে, যা রোজা ভঙ্গ করতে পারে।

২. মেসওয়াক করার সময় পানি বা টুথপেস্ট ব্যবহার করা

মেসওয়াকের সঙ্গে যদি পানি বা টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয়, তবে এই পানি যদি গলায় চলে যায়, তা রোজা ভঙ্গ করবে। তবে, যদি আপনি সঠিকভাবে মেসওয়াক করেন এবং মুখে কিছু না চলে, তবে এটি রোজার জন্য কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।

৩. সকালে সেহরি এবং সন্ধ্যায় ইফতারির পর মেসওয়াক করা

রোজার সময় মেসওয়াক করা উত্তম, বিশেষ করে সেহরি বা ইফতারের আগে, কারণ এটি মুখের এবং দাঁতের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে এবং আপনার মন্দ গন্ধ প্রতিরোধ করে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার মুখে কিছু প্রবাহিত না হয়, যেহেতু রোজা সারা দিনের জন্য রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সেহরির পর সহবাস করা যাবে কিনা

৪. মেসওয়াক করার উপকারিতা

মেসওয়াক সুন্নাত হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নাত ছিল এবং এটা দাঁত এবং মাড়ি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি মৌখিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক এবং এক ধরনের ধ্যানে মনোযোগ দানে সহায়ক হতে পারে।

সুতরাং, মেসওয়াক করার সময় যদি সতর্কভাবে এটি করা হয় এবং কিছু মুখে প্রবাহিত না হয়, তবে এটি রোজার জন্য কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button