ইসলাম

ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে না

ফিতরা ইসলামি শরিয়তে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দান, যা ঈদুল ফিতরের আগে প্রদান করা হয়। এটি মুসলমানদের জন্য ফরজ সদকা, যা গরিব ও অসহায়দের ঈদের আনন্দে শামিল করতে সাহায্য করে।ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে নাতবে ফিতরা দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে, এবং এটি কাকে দেওয়া যাবে, কাকে দেওয়া যাবে না তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, ধনী ব্যক্তি, নিকট আত্মীয়দের নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণি এবং নবী (সা.) এর বংশধরদের ফিতরা দেওয়া নিষিদ্ধ।

সঠিক নিয়ম মেনে ফিতরা প্রদান করা হলে এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য কল্যাণকর হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়।

ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে না?

ফিতরা (সাদাকাতুল ফিতর) দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে এবং এটি কাকে দেওয়া যাবে না, সে সম্পর্কেও ইসলামি শরিয়তে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। নিচে ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে না, তা উল্লেখ করা হলোঃ

১. নিজের পরিবার ও অধীনস্থদের

  • বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি (উপরের বংশধর)
  • ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি (নিচের বংশধর)
  • স্ত্রী (স্বামী তার স্ত্রীকে দিতে পারবে না)

২. ধনী ব্যক্তিদের

যারা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক (যাদের কাছে মৌলিক চাহিদার বাইরে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ আছে)

৩. হাশেমি বংশের লোকদের

নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বংশধর বা বনু হাশেম গোত্রের লোকদের জন্য সাধারণ দান-সদকা গ্রহণ করা বৈধ নয়।

৪. অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের:

যারা খারাপ কাজে সম্পদ ব্যবহার করবে, যেমনঃ নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি বা চোর-ডাকাত।

৫. অমুসলিমদের

ফিতরা শুধুমাত্র মুসলিম গরিবদের জন্য নির্ধারিত, তাই এটি অমুসলিমদের দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুনঃ সদকাতুল ফিতর কি

ফিতরা কাদের দেওয়া যাবে?

  • গরিব ও অভাবী মুসলমান
  • এতিম
  • ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
  • মুসাফির (অভাবগ্রস্ত ভ্রমণকারী)
  • যারা সম্পদহীন হয়ে পড়েছে

শেষ কথা

ফিতরা মূলত পবিত্রতা অর্জন ও গরিবদের ঈদের আনন্দে শামিল করার জন্য দেওয়া হয়। তাই এটি যথাযথভাবে হকদারদের দেওয়া উচিত। সবাইকে ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button