ইতিকাফ করার হুকুম কি
ইসলামে ইবাদতের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যার মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত হলো ইতিকাফ। ইতিকাফ শব্দের অর্থ হলো নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করা ও নিজেকে আল্লাহর ইবাদতে নিয়োজিত রাখা।এটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ, যদি কোনো মুসলিম এটি আদায় করে, তবে অন্যদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু কেউ আদায় না করলে পুরো সমাজ গুনাহগার হবে।
ইতিকাফের মাধ্যমে মুসলমানরা দুনিয়াবি ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পান। তাই ইতিকাফের গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে জানা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিকাফ করার হুকুম কি?
ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ কোনো একটি এলাকায় কেউ ইতিকাফ করলে অন্যদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে যদি কেউ না করে, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।
ইতিকাফের ধরন?
১. ওয়াজিব ইতিকাফ
মানত (মনের সংকল্প) করা হলে তা পালন করা ফরজ।
২. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ
রমজানের শেষ দশ দিনে করা সুন্নত।
৩. নফল ইতিকাফ
বছরের যেকোনো সময় করা যেতে পারে।
ইতিকাফের মূল শর্তসমূহ?
- মুসলিম হওয়া
- নাপাক না থাকা (যেমনঃ ঋতুমতী বা জানাবত অবস্থায় থাকা)
- মসজিদে অবস্থান করা (নারীরা ঘরের নির্দিষ্ট জায়গায় করতে পারেন)।
ইতিকাফ নিয়ত করা?
রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করা সুন্নাত এবং এতে অনেক সওয়াব রয়েছে। নবী (সা.) আজীবন এটি পালন করেছেন।