ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স
বাংলাদেশে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হয়।এই ক্যাম্পেইনটির উদ্দেশ্য হল শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাব পূর্ণ করা, যাতে তারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পায়।
ভিটামিন এ এর গুরুত্ব?
দৃষ্টিশক্তি রক্ষা
ভিটামিন এ শিশুর চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাতকানা (night blindness) এবং অন্যান্য দৃষ্টির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শিশুদের বিকাশ
এটি শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক, বিশেষ করে তাদের ত্বক, হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমে।
রোগ প্রতিরোধ
ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যা শিশুকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়ার সময়সূচি?
১. প্রথম ডোজ
৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হয়।
২. দ্বিতীয় ডোজ
এরপর একই শিশুদের আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য?
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বছর এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, সরকারের লক্ষ্য হল ৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাব মোকাবেলা করা এবং তাদের সুস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করা।
নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা?
ক্যাম্পেইনে ব্যবহৃত ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো নিরাপদ এবং কার্যকর বলে পরীক্ষিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে এসব ক্যাপসুল শিশুর জন্য উপকারী এবং কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
এভাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের এই ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।