শবে কদরের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
শবে কদর (লাইলাতুল কদর) হলো এক মহিমান্বিত রাত, যা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম (সুরা কদর, আয়াত ৩)। তাই এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত।
শবে কদরের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়?
শবে কদরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নামাজ নেই, তবে নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া সুন্নত। সাধারণত নিম্নোক্ত নিয়মে পড়া যায়ঃ
১. দুই রাকাত করে নামাজ পড়া উত্তম
- প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সূরা পড়া যায়।
- অনেকে সুরা কদর (৯৭ নং সূরা) ও সুরা ইখলাস (১১২ নং সূরা) বেশি বেশি পড়েন।
2. ৮, ১২ বা ২০ রাকাত পড়া উত্তম
- ৮ রাকাত পড়লে প্রত্যেক দুই রাকাত পরপর সালাম ফেরাতে হয়।
- কেউ চাইলে ১২, ২০ বা আরও বেশি রাকাত পড়তে পারেন।
৩. বিশেষ ৪ রাকাত নামাজের নিয়ম
প্রথম রাকাতে
সুরা ফাতিহার পর সুরা কদর ৩ বার
দ্বিতীয় রাকাতে
সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস ৩ বার
তৃতীয় রাকাতে
সুরা ফাতিহার পর সুরা ফালাক ৩ বার
চতুর্থ রাকাতে
সুরা ফাতিহার পর সুরা নাস ৩ বার
এই নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা শবে কদরের ফজিলত দান করেন বলে অনেক আলেম মনে করেন।
শবে কদরের অন্যান্য ইবাদত?
শুধু নামাজ নয়, এই রাতে অন্যান্য ইবাদতও করা উচিতঃ
- বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত
- ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা)
- দরুদ শরীফ পাঠ
- তাহাজ্জুদ নামাজ
৪. দোয়া করা (বিশেষত এই দোয়া পড়া উত্তম)
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি”
বাংলা অর্থঃ
“হে আল্লাহ, আপনি পরম ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন।”
শবে কদরের ফজিলত?
- এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন।
- আল্লাহ তায়ালা এই রাতে বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন।
- এক রাতের ইবাদত ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
তাই, শবে কদরের রাতে বেশি বেশি ইবাদত, তাওবা, জিকির এবং দোয়া করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই রাতের বরকত লাভের তৌফিক দান করুন। আমিন।