শবে কদরের নামাজের দোয়া
শবে কদর ইসলামের একটি বিশেষ রজনী, যে রাতে কুরআন নাজিল হয় এবং এই রাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “শবে কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম” (সুরা আল-কদর, আয়াত ৩)।এই রাতে ইবাদত এবং দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত এবং মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শবে কদরের রাতের বিশেষত্বের কারণে মুসলিমরা এই রাতটিকে দোয়া, তাসবিহ, তাহাজ্জুদ নামাজ এবং কুরআন তেলাওয়াতে কাটানোর চেষ্টা করে।
শবে কদরের নামাজের দোয়া একটি বিশেষ প্রার্থনা যা এই রাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা এবং রহমত প্রার্থনা করা হয়। এর মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করে নিজেদের পাপ মাফ করার জন্য আহ্বান করেন।
শবে কদরের নামাজের দোয়া?
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, শবে কদরের রাতে আমার কোন দোয়াটি পড়া উচিত?’ তিনি তাকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন যেঃ
আরবি উচ্চারণঃ
“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।”
বাংলা অর্থঃ
“হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।” (সুনানে ইবনে মাজা)।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম?
আল্লাহর দেওয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত হলো শবে কদরের রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া ও ইস্তিগফার পড়া। এছাড়াও জিকির বেশি বেশি করা উচিত। আর এ শবে কদরের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম।
শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোন ধরনের নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, ঠিক এ রাতেও স্বাভাবিক নিয়মে শবে কদরের নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোন ধরনের নিয়ত করতে হবে না।