পড়াশোনা

মিটারে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়

বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য কিছু সহজ এবং কার্যকর কৌশল রয়েছে। এসব কৌশল অনুসরণ করলে বিদ্যুতের সাশ্রয় যেমন হবে, তেমনি পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনেও সহায়ক হবে। চলুন, জেনে নেই বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১০টি কার্যকর কৌশলঃ

১. মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে।

২. বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।

৩. ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।

৪. যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।

৫. পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।

৬. ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম।

৭. রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

৮. এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়।

৯. দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।

১০. ঝড় বৃষ্টির সময় বারে বারে কারেন্ট গেলে, আর এলে বাড়ির যেকোন একটা কম পাওয়ারের এলিডি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখবেন সমস্ত ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন না তাতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে।

১১. এলইডি বাতি ব্যবহার করুন

প্রথাগত ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্বের পরিবর্তে এলইডি বা কম্প্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট লাইট (CFL) ব্যবহার করুন। এগুলো কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

১২. ইলেকট্রনিক্স এবং অ্যাপ্লায়েন্সস বন্ধ রাখুন

প্রয়োজন না থাকলে ইলেকট্রনিক্স এবং অ্যাপ্লায়েন্সস বন্ধ রাখুন। স্ট্যান্ডবাই মোডেও ডিভাইসগুলো বিদ্যুৎ খরচ করে, তাই সম্ভব হলে প্লাগ খুলে রাখুন।

১৩. এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ডিভাইস ব্যবহার করুন

এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ডিভাইস ব্যবহার করুন। নতুন ডিভাইস কেনার সময় এনার্জি স্টার লেবেল দেখে কিনুন, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কার্যকর।

১৪. প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করুন

দিনের বেলায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করুন। জানালার পর্দা সরিয়ে ঘরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করতে দিন। এতে করে দিনের বেলায় লাইটের প্রয়োজন হবে না।

১৫. এনার্জি-এফিসিয়েন্ট কুকিং

খাবার রান্নার সময় ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন এবং প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। এতে রান্না দ্রুত শেষ হবে এবং গ্যাস বা বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

১৬. এয়ার কন্ডিশনার সঠিকভাবে ব্যবহার করুন

এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন। নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং রুমের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।

১৭. পানির হিটার ব্যবহার কমান

পানির হিটার ব্যবহারের সময় সীমিত করুন। কম তাপমাত্রায় পানি গরম করার চেষ্টা করুন এবং সোলার ওয়াটার হিটার ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট

১৮. ফ্রিজের দরজা বন্ধ রাখুন

ফ্রিজের দরজা খুলে রাখা থেকে বিরত থাকুন। খাবার দ্রুত বের করে দরজা বন্ধ করুন এবং ফ্রিজে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।

১৯. ওয়াশিং মেশিনে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন

ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় গরম পানির পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

২০. স্মার্ট পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করুন

স্মার্ট পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করুন যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় ডিভাইস বন্ধ করে দেয়। এতে বিদ্যুৎ অপচয় কমবে।এই কৌশলগুলো মেনে চললে বিদ্যুৎ বিল কমানো সহজ হবে এবং সাশ্রয়ী জীবনযাপন সম্ভব হবে। বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button