প্রাইমারি ভাইভা অভিজ্ঞতা
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এর ২০২৩ প্রথম ধাপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রার্থী প্রকাশিত হয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ব্যক্তিদের ভাইভার আলোকে এবারের মৌখিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন।
প্রার্থী : আস্সালামু আলাইকুম। আসতে পারি, স্যার?
চেয়ারম্যান : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আসুন, বসুন।
চেয়ারম্যান : আপনার নাম কী?
প্রার্থী : নুরুল্লাহ সিদ্দিকী নিলয়।
চেয়ারম্যান : কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
প্রার্থী : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্যার।
চেয়ারম্যান: আমি তোমাকে সারাজীবন মনে রাখবো এটার Translation কী হবে?
প্রার্থী : I will remember you forever.
পরীক্ষক-১: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি পার্ক রয়েছে এর নাম কী?
প্রার্থী : বাহাদুর শাহ পার্ক।
পরীক্ষক-১: বাহাদুর শাহ কে ছিলেন?
প্রার্থী : মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ সম্রাট।
আরও পড়ুনঃ ক্যাপচা লিখে আয়
পরীক্ষক-১: বাহাদুর শাহের পুরো নাম কী?
প্রার্থী : আবুল মুজাফ্ফার সিরাজুদ্দীন মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ গাজী।
পরীক্ষক-১: রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকটির রচয়িতা কে? : মুনীর চৌধুরী।
প্রার্থী পরীক্ষক-১: এ নাটকের দুটি চরিত্রের নাম বলতে পারবেন?
প্রার্থী : জি স্যার, ইব্রাহিম কার্দি ও জোহরা বেগম।
পরীক্ষক-১: আপনি কি মনে করেন ইব্রাহিম কার্দি সঠিক ছিলেন?
প্রার্থী : জি স্যার। আমি মনে করি তিনি সঠিক ছিলেন। যেহেতু তিনি একটি বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমৃত্যু একনিষ্ঠ ছিলেন সুতরাং আমি মনে করি তিনি সঠিক ছিলেন।
পরীক্ষক-২: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত দু’জন নারীর নাম কী?
প্রার্থী : ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম ও তারামন বিবি।
পরীক্ষক-১: কোন যুদ্ধের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের সূত্রপাত হয়?
প্রার্থী : ১৫২৬ সালে ইব্রাহীম লোদীর সাথে অনুষ্ঠিত পানিপথের প্রথম যুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে।
পরীক্ষক-১: আবুল ফজল ইবন মুবারক কে ছিলেন?
প্রার্থী : মুঘল যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক, বিদগ্ধ পণ্ডিত প্রার্থী এবং সম্রাট আকবরের সচিব ছিলেন।
পরীক্ষক-২: আপনি এখন কী কোনো চাকরি করছেন?
প্রার্থী : জি না স্যার, চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পরীক্ষক-২: বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন?
প্রার্থী : জি স্যার, তবে প্রিলিমিনারি পাস করলেও লিখিত পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকা ডিপোজিট সাইট
পরীক্ষক-২: আচ্ছা মনে করুন, আপনার সামনে ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদেরকে একটি কবিতা আবৃতি করে শোনাবেন।
প্রার্থী : স্যার, আমি দাঁড়িয়ে বলবো?
পরীক্ষক-২: না, বসেই শোনান।
প্রার্থী : ভাইভা কক্ষের শূন্য দিকটাতে মুখ ফিরিয়ে বোর্ড -হ্যালো, বাচ্চারা, কেমন আছো তোমরা?
বোর্ড : সমস্বরে বললেন- ভালো আছি, স্যার। আপনি কেমন আছেন?
প্রার্থী : আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আর কোনো পড়াশোনা হবে না। আজকে তোমাদেরকে আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা কবিতা শোনাবো।
বোর্ড প্রার্থী : জি স্যার, আমরাও কবিতা শুনতে চাই।
প্রর্থী : কবিতার নাম-দুরন্ত আশা। মর্মে যবে মত্ত আশা, সর্পসম ফোঁসে, অদৃষ্টের বন্ধনেতে দাপিয়া বৃথা রোষে।…… শেনজেন চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
চেয়ারম্যান: প্রার্থী : ১৪ জুন ১৯৮৫, ইউরোপের ২৮টি দেশের মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচলের জন্যে।
চেয়ারম্যান : শেনজেন শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
প্রার্থী : লুক্সেমবার্গ।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা, সিমলা চুক্তি কোন দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এবং কী নিয়ে এই চুক্তি করা হয়?
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সাইট
প্রার্থী : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য।
চেয়ারম্যান: কোন কোন ব্যক্তি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন?
প্রার্থী : ইন্দিরা গান্ধী এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো।
চেয়ারম্যান: ধন্যবাদ, আপনি এবার আসতে পারেন।
প্রার্থী : আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, আস্সালামু আলাইকুম।
আপনি যদি প্রতিদিনের সরকারি চাকরি বা বেসরকারি চাকরির নিউজ পেতে চান তাহলে টুডেই পোস্ট বিডির সাথেই থাকুন। এই ভাইবা টি নেওয়া হয়েছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে। বর্ষ ২৯। সংখ্যা ৩০৩। ফেব্রুয়ারি ২০২৪।