পড়াশোনা

সহকারী জজ হওয়ার যোগ্যতা | সহকারী জজ এর বেতন কত

সহকারী জজ এর ক্ষমতা ও সহকারী জজ হওয়ার জন্য যোগ্যতা কেমন লাগে বা সরকারি জজের বেতন কত এই নিয়ে অনেকের জানা নেই। আজকের পোস্টে সহকারি জজের ক্ষমতা ও সহকারী জজ হওয়ার জন্য কি কি করতে হয়?সহকারী জজ হওয়ার যোগ্যতা এই নিয়ে মোটামুটি আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

সহকারী জজ হওয়ার যোগ্যতা?

সহকারি জজ হওয়ার জন্য অবশ্যই যোগ্যতা লাগবে। নিচে সহকারি জজ হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে তা উল্লেখ করা হলোঃ

  • আবেদন প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং বাংলাদেশ স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক অথবা কোন স্বীকৃত বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদী স্নাতক সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকতে হবে।
  • স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে।

তাছাড়া সহকারী জজ হওয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা তেমন বেশি প্রভাব ফেলে না। প্রার্থীর ভিতরে এই যোগ্যতা গুলি থাকলে কিছু পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে সহকারী জজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট

সহকারী জজ এর বেতন কত?

সহকারি জর্জরা কত টাকা বেতন পেয়ে থাকে বা একজন সরকারি জজের বেতন কত এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। ২০১৬ সালের বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের মূল বেতন ছিলো ৩০,৯৩৫ টাকা থেকে ৬৮,৪৩০ টাকার মধ্যে।

তবে এটা সাত বছর আগের বেতন স্কেল। তাই সেই তুলনায় এখন সহকারী জজের বেতন স্কেল আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সহকারী জজ এর ক্ষমতা?

একজন সহকারি জজের বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। নিচে সহকারী জজের ক্ষেত্র বিশেষে ক্ষমতা তুলে ধরা হলোঃ

  • সহকারী জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করতে পারবেন।
  • সমস্ত ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদ, গার্হস্থ সহিংসতা, বিভাজন, আদালতকে আদেশ প্রদান ও আদালতের চিঠিপত্র প্রতিলিপি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন।
  • সিডিউল ট্রায়াল বা আদালতের শুনানির ব্যবস্থা খুব সহজেই করতে পারবেন।

সহকারী জজের কি ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

একজন সহকারি জজের অবশ্যই দক্ষতা ও জ্ঞানের ভান্ডার অন্যদের তুলনায় একটু বেশি থাকতে হবে। সহকারী জজের আইন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান, সঠিক ও যৌতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিচক্ষণতা ও সততা, ন্যায়ের সাথে আপোষহীন হওয়ার মানসিকতা অবশ্যই থাকতে হবে।

তাছাড়া একজন সহকারী জজের ধৈর্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সহকারি জজের ভিতরে ধৈর্যধারণ ক্ষমতাটা ভালো হওয়া জরুরী।

একজন সরকারি জর্জ কোথায় কাজ করে থাকেন?

একজন সহকারী জজের অবশ্যই নির্দিষ্ট কর্ম স্থান রয়েছে। সহকারী জজগন সাধারণত জেলা পর্যায়ের দেওয়ানী আদালত সমূহে কাজ করে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

সহকারী জজ এর সুযোগ সুবিধা?

জজ নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত সহকারী জর্জ হতেই নিয়োগ শুরু হয়ে থাকে। জজদের মাসিক সম্মানী ষষ্ঠ গ্রেড থেকে শুরু হয়ে থাকে যেখানে বিসিএস দিয়ে শুরু করা সরকারি চাকরিতে সম্মানী নবম গ্রেড দিয়ে শুরু হয়ে থাকে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা সকল দেশেই প্রথম শ্রেণীর অফিসার হিসেবে বিবেচিত। একজন সহকারী জজ অফিসে যাওয়া আসার জন্য একটি গাড়ি পেয়ে থাকেন। তাছাড়াও আবাসন ভাতা অপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সরকারি কোয়ার্টারে আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকেন।

তারপরে যদি কখনো পদোন্নতি হয়ে থাকে তাহলে নিরাপত্তার স্বার্থে একজন গ্যানম্যান থাকেন, যিনি জজ সাহেবের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ এমন কাউকে দেখলে বা সেরকম উপস্থিতি টের পেলে শুট করার ক্ষমতা রাখেন।

শেষ কথা

সহকারি জজ হওয়ার যোগ্যতা বা সহকারী জজ হওয়ার জন্য কি কি করা লাগে আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button