অর্থনীতি

১০০০ টাকার নোট কবে চালু হয়

বাংলাদেশে ১০০০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা সবচেয়ে বড় মূল্যমানের নোট।১০০০ টাকার নোট কবে চালু হয়উচ্চ মূল্যের লেনদেন সহজতর করতে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে এটি চালু করা হয়।

১০০০ টাকার নোটের বিবরণ ও বিবর্তন?

১. প্রথম সংস্করণ (২০০৮)

প্রথমবার চালু

২৭ অক্টোবর, ২০০৮

ডিজাইন

  • সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি
  • পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভবনের ছবি

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • জলছাপ
  • নিরাপত্তা সুতা
  • মাইক্রোপ্রিন্টিং
  • রঙ পরিবর্তনকারী কালি

আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকার নোট কবে চালু হয়

২. দ্বিতীয় সংস্করণ (২০১১-বর্তমান)

২০১১ সালে নতুন নকশার নোট চালু হয়, যাতে আরও উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়।

বর্তমান ডিজাইন (২০১৬)

সামনের অংশে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। পেছনের অংশে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমনঃ

  • রঙ পরিবর্তনকারী সুতা
  • উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print) দৃষ্টিহীনদের জন্য
  • UV আলোতে প্রতিফলিত লেখা

১০০০ টাকার নোটের প্রধান বৈশিষ্ট্য?

বাংলাদেশের ১০০০ টাকার নোট দেশের সর্বোচ্চ মূল্যমানের ব্যাংকনোটগুলোর মধ্যে একটি। এটি উচ্চ মূল্যের লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এতে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অত্যাধুনিক ডিজাইন সংযোজন করা হয়েছে।

১. ডিজাইন ও উপাদান

সামনের অংশ

  • শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
  • বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক (পদ্মফুল)
  • নোটের সংখ্যা ও মূল্যমান (১০০০)

পেছনের অংশ

  • জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি
  • শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রতীক

আরও পড়ুনঃ ২ টাকার নোট কবে চালু হয়

২. নিরাপত্তা ব্যবস্থা

জলছাপ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং “১০০০” সংখ্যাটি জলছাপে দৃশ্যমান।

নিরাপত্তা সুতা

রঙ পরিবর্তনকারী সুতা, যা আলোর নিচে নড়াচড়া করলে সোনালি-সবুজ রঙ ধারণ করে।

উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print)

দৃষ্টিহীনদের জন্য স্পর্শে অনুভবযোগ্য বিশেষ ছাপযুক্ত।

UV প্রতিফলন

অতিবেগুনি (UV) আলোতে নোটের কিছু বিশেষ লেখা ও ডিজাইন দৃশ্যমান হয়।

মাইক্রোপ্রিন্টিং

অতিক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না, তবে বিশেষ যন্ত্রে বোঝা যায়।

কিউআর কোড (QR Code)

নোটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে।

৩. রঙ ও আকার

রঙ

প্রধানত নীলচে-বেগুনি ও লালচে বাদামি মিশ্রণ।

মাপ

১৬০ × ৭০ মিমি, যা ৫০০ ও অন্যান্য নোটের তুলনায় সামান্য বড়।

আরও পড়ুনঃ ৫ টাকার নোট কবে চালু হয়

৪. মুদ্রণ ও মান

উন্নত মানের বিশেষ কাগজে মুদ্রিত, যা দীর্ঘস্থায়ী ও ছেঁড়া প্রতিরোধী। জাল নোট শনাক্তকরণ সহজ করার জন্য নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে।

৫. ব্যবহার ও গুরুত্ব

উচ্চ মূল্যের লেনদেনে ব্যবহৃত

জমি ক্রয়, গাড়ি কেনা, ব্যাংক লেনদেন ইত্যাদিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ব্যাংক ও ব্যবসায় জনপ্রিয়

বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বেশি ব্যবহার করে।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ

অনেকে এটি জমিয়ে রাখে বা ব্যাংকে সংরক্ষণ করে।

১০০০ টাকার নোট চালুর প্রভাব

১. বড় লেনদেন সহজতর হয়েছে

উচ্চমূল্যের লেনদেন এখন সহজে করা যায়।

২. অর্থনীতিতে প্রভাব

বড় অঙ্কের নোট থাকা কালো টাকার প্রবাহের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, তাই বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।

আরও পড়ুনঃ ১০ টাকার নোট কবে চালু হয়

৩. ব্যাংকিং ও ব্যবসায় সুবিধা

ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা এটি ব্যবহার করে দ্রুত বড় লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন।

শেষ কথা

বাংলাদেশে ১০০০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালে এবং সময়ের সঙ্গে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। এটি বড় অঙ্কের লেনদেন সহজতর করেছে, তবে জালিয়াতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক কড়া নজরদারি রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button