১০০ টাকার নোট কবে চালু হয়
বাংলাদেশে ১০০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭২ সালে। এটি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম ইস্যু করা ব্যাংকনোটগুলোর একটি।সময়ের সঙ্গে এই নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে।
১০০ টাকার নোটের বিবরণ ও বিবর্তন?
১. প্রথম সংস্করণ (১৯৭২)
প্রথমবার চালু
১৯৭২ সাল
ডিজাইন
- সামনের অংশে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ও ডিজাইন
- পেছনের অংশে প্রথমদিকে সরকারি প্রতীক ছিল
২. দ্বিতীয় সংস্করণ (২০০০-এর দশক)
- শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংযোজন করা হয়।
- রঙ পরিবর্তন, জলছাপ, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ টাকার নোট কবে চালু হয়
৩. বর্তমান সংস্করণ (২০১১-বর্তমান)
বর্তমান ডিজাইন (২০১১)
সামনের অংশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
পেছনের অংশে
- জাতীয় সংসদ ভবন
- উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন:
- রঙ পরিবর্তনকারী নিরাপত্তা সুতা
- উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print) দৃষ্টিহীনদের জন্য
- UV আলোতে প্রতিফলিত লেখা
১০০ টাকার নোটের প্রধান বৈশিষ্ট্য?
১. ডিজাইন ও উপাদান
সামনের অংশ
- শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
- জাতীয় প্রতীক (পদ্মফুল)
- নোটের মূল্যমান (১০০)
- অংশবিশেষে বাংলাদশের ঐতিহাসিক চিত্র
পেছনের অংশ
- নদী এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি (উদাহরণস্বরূপ, যমুনা নদী বা সুন্দরবন)
- জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি
আরও পড়ুনঃ ২ টাকার নোট কবে চালু হয়
২. নিরাপত্তা ব্যবস্থা
জলছাপ
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও “১০০” সংখ্যাটি জলছাপে দৃশ্যমান।
নিরাপত্তা সুতা
রঙ পরিবর্তনকারী সুতা, যা আলোর নিচে সোনালি-সবুজ রঙ ধারণ করে।
উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print)
দৃষ্টিহীনদের জন্য স্পর্শে অনুভবযোগ্য বিশেষ ছাপযুক্ত।
UV প্রতিফলন
অতিবেগুনি (UV) আলোতে নোটের কিছু বিশেষ লেখা ও ডিজাইন দৃশ্যমান হয়।
মাইক্রোপ্রিন্টিং
অতিক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না, তবে বিশেষ যন্ত্রে বোঝা যায়।
কিউআর কোড (QR Code)
নোটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
৩. রঙ ও আকার
রঙ
প্রধানত সবুজ এবং সোনালি রঙের মিশ্রণ।
মাপ
১৫৫ × ৭২ মিমি, এটি একটি মাঝারি আকারের নোট।
আরও পড়ুনঃ ১ টাকার নোট কবে চালু হয়
৪. মুদ্রণ ও মান
উন্নত মানের বিশেষ কাগজে মুদ্রিত, যা দীর্ঘস্থায়ী ও ছেঁড়া প্রতিরোধী। বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং জাল নোট শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যবহৃত।
৫. ব্যবহার ও গুরুত্ব
মাঝারি ও ছোট মূল্যের লেনদেনে ব্যবহৃত
১০০ টাকার নোট অনেক সাধারণ লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ব্যাংক ও ব্যবসায়
ব্যবসায়ীরা এই নোটটি বেশি ব্যবহার করে এবং এটি বেশ জনপ্রিয়।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ
অনেকেই এটিকে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ হিসেবে রাখে।
১০০ টাকার নোটের ব্যবহার ও প্রভাব?
১. দৈনন্দিন লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ
সাধারণ বাজারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নোটগুলোর একটি।
২. ব্যাংক ও ব্যবসায় ব্যবহার
ব্যাংকিং এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য এটি অত্যন্ত দরকারি নোট।
আরও পড়ুনঃ ৫ টাকার নোট কবে চালু হয়
৩. স্মারক মূল্য
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি থাকার কারণে এটি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথা
বাংলাদেশে ১০০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭২ সালে, যা সময়ের সঙ্গে উন্নত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত নোট, যা বাজারে সহজ লেনদেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।