৫০ টাকার নোট কবে চালু হয়
বাংলাদেশে ৫০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭৬ সালে। এটি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা মাঝারি মূল্যের ব্যাংকনোটগুলোর মধ্যে অন্যতম।সময়ের সাথে নোটটির ডিজাইন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও উপাদানে একাধিকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
৫০ টাকার নোটের বিবরণ ও বিবর্তন?
১. প্রথম সংস্করণ (১৯৭৬)
প্রথমবার চালু
১৯৭৬ সাল
ডিজাইন
সামনের অংশে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
পেছনের অংশে
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি
আরও পড়ুনঃ ১০ টাকার নোট কবে চালু হয়
২. দ্বিতীয় সংস্করণ (২০০০-এর দশক)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংযোজন করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হয়, যেমন জলছাপ ও নিরাপত্তা সুতা।
৩. বর্তমান সংস্করণ (২০১১-বর্তমান)
বর্তমান ডিজাইন (২০১২)
- সামনের অংশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
- পেছনের অংশে জাতীয় সংসদ ভবন
উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমনঃ
- রঙ পরিবর্তনকারী নিরাপত্তা সুতা
- উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print) দৃষ্টিহীনদের জন্য
- UV আলোতে প্রতিফলিত লেখা
আরও পড়ুনঃ ১ টাকার নোট কবে চালু হয়
৫০ টাকার নোটের প্রধান বৈশিষ্ট্য?
১. ডিজাইন ও উপাদান
সামনের অংশ
- শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
- নোটের মূল্যমান (৫০)
- জাতীয় প্রতীক (পদ্মফুল)
- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কিত চিত্র
পেছনের অংশ
- সুন্দরবন (বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান) এর ছবি
- রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য
২. নিরাপত্তা ব্যবস্থা
জলছাপ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও “৫০” সংখ্যাটি জলছাপে দৃশ্যমান।
নিরাপত্তা সুতা
রঙ পরিবর্তনকারী সুতা, যা আলোর নিচে সোনালি-সবুজ রঙ ধারণ করে।
আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকার নোট কবে চালু হয়
উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print)
দৃষ্টিহীনদের জন্য স্পর্শে অনুভবযোগ্য বিশেষ ছাপযুক্ত।
UV প্রতিফলন
অতিবেগুনি (UV) আলোতে নোটের কিছু বিশেষ লেখা ও ডিজাইন দৃশ্যমান হয়।
মাইক্রোপ্রিন্টিং
অতিক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না, তবে বিশেষ যন্ত্রে বোঝা যায়।
কিউআর কোড (QR Code)
নোটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
৩. রঙ ও আকার
রঙ
প্রধানত সবুজ, সোনালি, নীল রঙের মিশ্রণ।
মাপ
১৫৪ × ৬৬ মিমি, এটি একটি মাঝারি আকারের নোট।
৪. মুদ্রণ ও মান
উন্নত মানের বিশেষ কাগজে মুদ্রিত, যা দীর্ঘস্থায়ী ও ছেঁড়া প্রতিরোধী। বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং জাল নোট শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যবহৃত।
আরও পড়ুনঃ ২ টাকার নোট কবে চালু হয়
৫. ব্যবহার ও গুরুত্ব
মাঝারি মূল্যের লেনদেনে ব্যবহৃত
৫০ টাকার নোট সাধারণত ছোট ব্যবসায়িক লেনদেন, বাজার ও দোকানে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাংক ও ব্যবসায়
এটি ব্যাংক এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে সাধারণত খুব জনপ্রিয়।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ
৫০ টাকার নোট কখনও কখনও সঞ্চয়ের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
৫০ টাকার নোটের ব্যবহার ও প্রভাব?
১. দৈনন্দিন লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ
বাজারে খুচরো লেনদেনের জন্য অন্যতম বহুল ব্যবহৃত নোট।
২. ব্যাংক ও ব্যবসায় ব্যবহার
দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের জন্য এটি ব্যবহারের উপযোগী।
৩. পরিবর্তনযোগ্য মূল্যের সুবিধা
১০০ বা ৫০০ টাকার চেয়ে ছোট লেনদেনের জন্য এটি বেশ কার্যকর।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ টাকার নোট কবে চালু হয়
শেষ কথা
বাংলাদেশে ৫০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭৬ সালে, যা বর্তমানে উন্নত ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নোট।