অর্থনীতি

১০ টাকার নোট কবে চালু হয়

বাংলাদেশে ১০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। এটি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা প্রথম দিকের ব্যাংকনোটগুলোর মধ্যে একটি।১০ টাকার নোট কবে চালু হয়সময়ের সাথে নোটটির ডিজাইন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উপাদানে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

১০ টাকার নোটের বিবরণ ও বিবর্তন?

১. প্রথম সংস্করণ (১৯৭২)

প্রথমবার চালু

১৯৭২ সাল

ডিজাইন

  • সামনের অংশে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
  • পেছনের অংশে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি

আরও পড়ুনঃ ৫ টাকার নোট কবে চালু হয়

২. দ্বিতীয় সংস্করণ (২০০০-এর দশক)

শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংযোজন করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হয়, যেমন জলছাপ ও নিরাপত্তা সুতা।

৩. বর্তমান সংস্করণ (২০১১-বর্তমান)

বর্তমান ডিজাইন (২০১১-২০১৩)

  • সামনের অংশে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
  • পেছনের অংশে কর্ণফুলী সেতুর ছবি

উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমনঃ

  • রঙ পরিবর্তনকারী নিরাপত্তা সুতা
  • উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print) দৃষ্টিহীনদের জন্য
  • UV আলোতে প্রতিফলিত লেখা

১০ টাকার নোটের প্রধান বৈশিষ্ট্য?

১. ডিজাইন ও উপাদান

সামনের অংশ

  • শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
  • নোটের মূল্যমান (১০)
  • বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক (পদ্মফুল)
  • বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক চিত্র

পেছনের অংশ

বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক বা প্রাকৃতিক স্থানের চিত্র (যেমন সুন্দরবন, জাতীয় সংসদ ভবন)
বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আরও পড়ুনঃ ১০ টাকার নোট কবে চালু হয়

২. নিরাপত্তা ব্যবস্থা

জলছাপ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং “১০” সংখ্যাটি জলছাপে দৃশ্যমান।

নিরাপত্তা সুতা

রঙ পরিবর্তনকারী সুতা, যা আলোর নিচে সোনালি-সবুজ রঙ ধারণ করে।

উঁচু প্রিন্টিং (Raised Print)

দৃষ্টিহীনদের জন্য স্পর্শে অনুভবযোগ্য বিশেষ ছাপযুক্ত।

UV প্রতিফলন

অতিবেগুনি (UV) আলোতে নোটের কিছু বিশেষ লেখা ও ডিজাইন দৃশ্যমান হয়।

মাইক্রোপ্রিন্টিং

অতিক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না, তবে বিশেষ যন্ত্রে বোঝা যায়।

কিউআর কোড (QR Code)

নোটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ১ টাকার নোট কবে চালু হয়

৩. রঙ ও আকার

রঙ

প্রধানত সবুজ এবং সোনালি রঙের মিশ্রণ।

মাপ

১৪৫ × ৬৬ মিমি, এটি একটি ছোট আকারের নোট।

৪. মুদ্রণ ও মান

  • উন্নত মানের বিশেষ কাগজে মুদ্রিত, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং ছেঁড়া প্রতিরোধী।
  • বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং জাল নোট শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যবহৃত।

৫. ব্যবহার ও গুরুত্ব

ছোট মূল্যের লেনদেনে ব্যবহৃত

১০ টাকার নোট সাধারণত বাজার, দোকান, পরিবহন, এবং ছোট ব্যবসায় ব্যবহৃত হয়।

ব্যাংক ও ব্যবসায়

এটি ব্যাংক এবং সাধারণ জনগণের কাছে জনপ্রিয়, বিশেষত দৈনন্দিন খরচের জন্য।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ

সাধারণত সঞ্চয় বা বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় না, তবে এটি ছোট অঙ্কের সঞ্চয়ে ব্যবহৃত হতে পারে।

১০ টাকার নোটের ব্যবহার ও প্রভাব?

১. দৈনন্দিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত

সাধারণ বাজারে ছোট লেনদেনের জন্য বহুল ব্যবহৃত নোটগুলোর মধ্যে অন্যতম।

২. ব্যাংক ও ব্যবসায় ব্যবহার

দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নোট।

আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকার নোট কবে চালু হয়

৩. ছোট লেনদেনের জন্য অপরিহার্য

৫ টাকার চেয়ে বড় এবং ২০ টাকার চেয়ে ছোট লেনদেনের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ।

শেষ কথা

বাংলাদেশে ১০ টাকার নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭২ সালে, যা বর্তমানে উন্নত ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশে দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নোটগুলোর মধ্যে অন্যতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button