সারাদেশ

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ৫টি স্বাস্থ্যকর পানীয়

ইউরিক অ্যাসিড হলো এমন একটি পদার্থ যা আমাদের শরীর খাবার ভাঙার সময় উৎপন্ন করে। এটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার অংশ হলেও, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা জয়েন্টগুলোতে জমা হতে পারে, যা অস্বস্তি এবং ব্যথা সৃষ্টি করে।

সাধারণত, ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ এমজি/ডিএল হওয়া উচিত। এর বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। কিছু ঘরোয়া পানীয় ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে। চলুন জেনে নিই এমনই ৫টি পানীয়ের কথা যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

১. লেবু পানি

দিনের শুরুতেই লেবু পানি পান করা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করবে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

আরো পড়ুনঃ চোখ ওঠা হলে কী করবেন?

২. গ্রিন ডিটক্স ড্রিংক

পালং শাক, শসা, আদা, এবং লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি এই গ্রিন ডিটক্স ড্রিংক আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক। পালং শাকের ক্লোরোফিল শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে আবদ্ধ করে তা বের করে দিতে সাহায্য করে, শসা শরীরকে হাইড্রেট করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে টক্সিন বের করে দেয়। আদা প্রদাহ কমায়, আর লেবুর রস ভিটামিন সি সরবরাহ করে যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এই পানীয়টি নিয়মিত পান করলে আপনার হজমের উন্নতি হবে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ এমপক্স ভাইরাস কী? এমপক্স ভাইরাসের লক্ষণ

৩. হলুদ দুধ

হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক যৌগ প্রদাহ বিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি শুধু আরামই দেবে না, পাশাপাশি আপনার শরীরকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে।

৪. শসার রস

শসা মানেই তাজা ও সতেজ অনুভূতি। শসার ৯০% পানি থাকার কারণে এটি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড সহ অন্যান্য টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। শসার রস পিউরিনের পরিমাণও খুব কম, তাই এটি কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। এক গ্লাস শসার রস বানিয়ে গরমের দিনে উপভোগ করুন এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৫. আদা চা

যারা আদা চায়ের উষ্ণতা পছন্দ করেন তাদের জন্য আদা চা হতে পারে একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আদা প্রদাহ বিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ, যা শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। আদার কয়েকটি টুকরা পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করুন এবং একটু মধু যোগ করুন। এটি নিয়মিত পান করলে জয়েন্টের ব্যথা কমবে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এই পানীয়গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার শরীর উরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে এবং অস্বস্তি বা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে এই পানীয়গুলো যোগ করে দেখুন কীভাবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button