চিকিৎসা

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ২০টি গ্যাসের ঔষধ নাম

আমরা অনেকেই গ্যাসের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানি না। আপনি যদি গ্যাসের ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ২০টি গ্যাসের ঔষধ নামতাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পযন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বাংলাদেশে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যার জন্য বেশ কিছু কার্যকরী ঔষধ পাওয়া যায়।

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ২০টি গ্যাসের ঔষধ নাম?

নবাংলাদেশে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যার জন্য বেশ কিছু কার্যকরী ঔষধ পাওয়া যায়। নিচে ২০টি সাধারণ গ্যাসের ঔষধের নাম এবং তাদের কার্যকারিতা দেওয়া হলোঃ

১. রেনিটিডিন (Ranitidine)

এটি পেটে এসিডের উৎপাদন কমায় এবং গ্যাস, হজমে সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

২. ওমিপ্রাজল (Omeprazole)

পেটের এসিড নিঃসরণ কমায়, যা গ্যাসের সমস্যা, আলসার, এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) রোধ করতে সাহায্য করে।

৩. এসোমিপ্রাজল (Esomeprazole)

পেটের অতিরিক্ত এসিড উৎপাদন রোধ করে এবং গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, ও GERD এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

৪. ল্যান্সোপ্রাজল (Lansoprazole)

এটি পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে, যা গ্যাস, আলসার এবং হজমের সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৫. ফ্যামোটিডিন (Famotidine)

হিস্টামিন-২ রিসেপ্টর ব্লকার হিসাবে কাজ করে, যা পেটে এসিড উৎপাদন কমিয়ে গ্যাসের সমস্যা ও বুক জ্বালা প্রতিরোধ করে।

৬. প্যান্টোপ্রাজল (Pantoprazole)

এসিডের উৎপাদন কমিয়ে পেপটিক আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

৭. রেবেপ্রাজল (Rabeprazole)

পেটের এসিড উৎপাদন রোধ করে এবং গ্যাসের সমস্যা, GERD, এবং পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করে।

৮. ডমপেরিডন (Domperidone)

পেট খালি করার প্রক্রিয়া দ্রুত করে, বমি বমি ভাব কমায় এবং গ্যাসের সমস্যার জন্য কার্যকর।

৯. ইটোরোপ্রাইড (Itopride)

হজমে সাহায্য করে এবং পেটে ফাঁপা ভাব ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম

১০. মোসাপ্রাইড (Mosapride)

এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল মটিলিটি বৃদ্ধি করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে গ্যাসের সমস্যা কমায়।

১১. ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Magnesium Hydroxide)

একটি অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে, পেটের অতিরিক্ত এসিড নিরপেক্ষ করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।

১২. অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Aluminium Hydroxide)

এসিড নিরপেক্ষকরণের মাধ্যমে বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

১৩. সিমেথিকন (Simethicone)

পেটে গ্যাস জমে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং পেটে অস্বস্তি কমায়।

১৪. ডাইসাইক্লোমিন (Dicyclomine)

পাকস্থলীর পেশী শিথিল করে এবং গ্যাস বা পেট ব্যথা কমায়।

১৫. অ্যালজিনিক অ্যাসিড (Alginic Acid)

GERD এবং বুক জ্বালা প্রতিরোধে সহায়ক, এটি পেটের এসিডকে খাদ্যনালীর দিকে আসতে বাধা দেয়।

১৬. মেটোক্লোপ্রামাইড (Metoclopramide)

হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, বমি বমি ভাব, ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

১৭. অ্যামোকার্বোন (Amoxapine with Activated Charcoal)

পাকস্থলীর গ্যাস শোষণ করে এবং হজমে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ ইনভেস্ট ছাড়াই ফ্রি টাকা ইনকাম apps পেমেন্ট বিকাশ

১৮. ডাইমেনহাইড্রিনেট (Dimenhydrinate)

বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

১৯. ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (Calcium Carbonate)

একটি অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে, পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড নিরপেক্ষ করে এবং বুক জ্বালা ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

২০. অমেপ্রাজল ও ডমপেরিডন (Omeprazole with Domperidone)

এই কম্বিনেশন ওষুধটি পাকস্থলীর এসিড উৎপাদন কমায় এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, গ্যাস ও বুক জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেয়।

এই ঔষধগুলো সাধারণত গ্যাস, বুক জ্বালা, এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button