ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার সহজ উপায়

ইলিশ মাছ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন যিনি ইলিশ পছন্দ করেন না। এখন ইলিশের মৌসুম, তাই ইলিশ খাওয়ার আনন্দটাও যেন একটু বাড়তি। তবে ইলিশ মাছ কেনার সময় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—কোনটি নদীর, কোনটি সমুদ্রের, কোনটিতে ডিম আছে, কোনটির স্বাদ ভালো, ইত্যাদি।
বিশেষত, ডিমওয়ালা ইলিশ কেনার কৌশল নিয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। এখানে ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো।
ইলিশের স্বাদের পার্থক্য:
অনেকের ধারণা, নদীর ইলিশ এবং সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। যদিও সব ধরনের ইলিশই কমবেশ ুস্বাদু হয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বড় আকারের ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি। বড় ইলিশকে ‘পাকা ইলিশ’ বলা হয়, আর বর্ষাকালের ইলিশ তুলনামূলক বেশি মজাদার।
আরো পড়ুনঃ সেপ্টেম্বর মাসে চাষযোগ্য ফসলের তালিকা
তবে ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার আগে পর্যন্ত স্বাদে থাকে পরিপূর্ণ, আর ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ কিছুটা কম হলেও এর পুষ্টিগুণ অপরিসীম।
কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ:
ডিমওয়ালা ইলিশ কেনার সময় কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন মাছটিতে ডিম আছে কি না। বিশেষত, অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাস ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার পদ্ধতিগুলো হলো:
- পেটের আকার: ডিমওয়ালা ইলিশের পেট সাধারণত একটু বেশি মোটা এবং চ্যাপ্টা হয়। পেটের অংশটি অন্যান্য ইলিশের তুলনায় উঁচু দেখায়।
- পেট টিপে দেখা: যদি মাছের পেট একটু টিপ দেন, তবে পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসতে পারে। এটি ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
- মৌসুম: অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়, তাই এই সময়ে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদিও বর্তমানে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
ডিমওয়ালা ইলিশের পুষ্টিগুণ:
ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি, এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডসহ মাছের ডিমে রয়েছে রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির উপাদান, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ইলিশ খাওয়ার আনন্দ ডিমওয়ালা ইলিশের মাধ্যমে আরও পূর্ণ করতে চাইলে, বাজার থেকে সঠিক পদ্ধতিতে ডিমওয়ালা ইলিশ নির্বাচন করুন।