সারাদেশ

এন্টিবায়োটিক এর কাজ কি

আমাদের অনেকের জ্বর এবং মাথা ব্যাথা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে বা মেডিসিনের দোকান হতে এন্টিবায়োটিক ঔষধ নিয়ে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে এন্টিবায়োটিক এর কাজ কি এবং এন্টিবায়োটিক খেলে শরীরের কি কোন ক্ষতি হয়।

আপনি যদি এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য। তাহলে চলুন এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

এন্টিবায়োটিক কাকে বলে?

এন্টিবায়োটিক হলো এমন এক ধরনের ওষুধ, যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে বা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেয়। বিভিন্ন সংক্রমণ, যেমন ফুসফুসের সংক্রমণ, টনসিলের ইনফেকশন এবং মূতরনী সংক্রমণের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ওষুধ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুনঃ মুখের কোণে ঘা দূর করার ঘরোয়া উপায় – সহজ সমাধান

তবে ভুলভাবে বা অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসার জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এন্টিবায়োটিক এর কাজ কী?

এন্টিবায়োটিকের প্রধান কাজ হলো শরীরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ধ্বংস করা। এটি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি থামিয়ে বা তাদের কোষ প্রাচীর ধ্বংসের মাধ্যমে কাজ করে। এন্টিবায়োটিক সাধারণত ফুসফুসের সংক্রমণ, টনসিলের ইনফেকশন, মূত্রনালী সংক্রমণসহ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। সঠিক সময়ে এবং সঠিক ডোজে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে এটি সংক্রমণ দ্রুত সারাতে সহায়ক হয়।

তবে এটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে কার্যকর; ভাইরাসজনিত রোগ, যেমন সর্দি-কাশিতে এটি কাজ করে না। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে বিপদজনক প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স) তৈরি হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষতি কারক দিক

এন্টিবায়োটিকের অযথা বা অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত। ফলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ হলে ওষুধ কাজ নাও করতে পারে। এছাড়া এটি ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, ত্বকের অ্যালার্জি ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। লিার ও কিডনির ওপরও এন্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুনঃ আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত?

শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক আরও সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ কখনোই নিরাপদ নয়। এ কারণে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এবং সঠিক ডোজে এটি ব্যবহার করা উচিত।

বাচ্চাদের জন্য এন্টিবায়োটিক কতটা প্রয়োজন

বাচ্চাদের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এটি শুধুমাত্র তখনই প্রয়োজন, যখন কোনো ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ ঘটে এবং চিকিৎসক তা নির্ধারণ করেন। সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর বা ভাইরাসজনিত রোগে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ ঘরোয়া উপায়

ভুলভাবে বা অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে শিশুদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা ভবিষ্যতে কার্যকর ওষুধ নির্ধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া এটি শিশুর পাচনতন্ত্র ও ইমিউন সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, বাচ্চাদের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার অবশ্যই সঠিক ডোজে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button