ইসলাম

শবে বরাতের রোজা কয়টি

শবে বরাত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত রাত। এটি শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতে পালিত হয়। এবং মুসলমানদের মধ্যে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শবে বরাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য ক্ষমা, রহমত ও মুক্তির সুযোগ প্রদান করেন।শবে বরাতের রোজা কয়টিএই রাতটি ইবাদত, তওবা এবং দোয়ার রাত হিসেবে পরিচিত। শবে বরাতের রোজা একটি সুন্নত আমল হিসেবে পালন করা হয়, যা ইসলামে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

শবে বরাতের রোজার গুরুত্ব?

শবে বরাতের রোজা রাখা একটি সুন্নত কাজ, যা শাবান মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে রাখা যেতে পারে। রাসুল (সা.) শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন এবং বিশেষভাবে শবে বরাতের রাতের প্রস্তুতির জন্য শাবান মাসের এই তারিখগুলোতে রোজা রাখার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৫

শবে বরাতের রোজা কয়টি?

শবে বরাতে রোজা রাখার ক্ষেত্রে ৩টি দিন রাখা উত্তম, যা হলোঃ

  • ১৩ শাবান (শবে বরাতের আগের দিন)
  • ১৪ শাবান (শবে বরাতের দিন)
  • ১৫ শাবান (শবে বরাতের পরদিন)

১৩ শাবান

এই দিনে রোজা রাখা যেতে পারে। এটি শবে বরাতের আগে প্রথম দিন এবং বিশেষভাবে শরীয়ত অনুযায়ী রোজা রাখা উত্তম।

১৪ শাবান

শবে বরাতের রাতের আগে দ্বিতীয় দিন, তবে রোজা রাখা ফরজ বা ওয়াজিব নয়, তবে যারা চাইলে রাখতে পারেন।

১৫ শাবান

এগুলো হলো শবে বরাতের রোজা রাখার উত্তম সময়, যেগুলো সুন্নত হিসেবে পালন করা হয়। রাসুল (সা.) শাবান মাসে বিশেষভাবে রোজা রাখতেন এবং শবে বরাতের দিনে বা এর পূর্ববর্তী বা পরবর্তী দিনে রোজা রাখার উপর উৎসাহিত করেছেন।

তবে, যদি কেউ কেবল ১৫ শাবানেই রোজা রাখতে চান, তবে এটি বিশেষভাবে শবে বরাতের রোজা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তা সওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে

শবে বরাতের রোজার ফজিলত?

শবে বরাতের রোজার বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছেঃ

১. রহমত ও ক্ষমা

শবে বরাতের রাতে আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। রোজা রেখে বান্দা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, যা তার গুনাহ মাফ করার একটি সুযোগ।

২. রিজিকের ফয়সালা

হাদিসে এসেছে, এই রাতে মানুষের রিজিক, আয়ু, মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় নির্ধারিত হয়, তাই শবে বরাতের রোজা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. সুন্নত অনুসরণ

রাসুল (সা.) শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন এবং শবে বরাতের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহ দিয়েছিলেন, যা মুসলমানদের জন্য একটি সওয়াবের কাজ।

আরও পড়ুনঃ শবে বরাত নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

মোটকথা, শবে বরাতের রাতে ইবাদত ও ক্ষমা প্রার্থনা করার পাশাপাশি, রোজা রাখা ভাল। তবে এটি ফরজ নয়, বরং একটি সুন্নত কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button