রোজা রাখা কি ফরজ
পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত থাকার নামই রোজা।এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সংযমের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা মানুষের মধ্যে তাকওয়া বা খোদাভীতি গড়ে তোলে।
রোজা রাখা কি ফরজ?
হ্যাঁ, রমজান মাসের রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে একটি। এবং এটি প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ (অবশ্য পালনীয়)। আল্লাহ তাআলা কুরআনে এরশাদ করেছেনঃ
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনঃ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩)।
হাদিসঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিতঃ (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল; (২) নামাজ কায়েম করা; (৩) জাকাত দেওয়া; (৪) রমজানের রোজা রাখা; (৫) সামর্থ্যবান হলে হজ করা।” (সহিহ বুখারি: ৮, সহিহ মুসলিম: ১৬)।
আরও পড়ুনঃ রমজানের রুটিন কেমন হওয়া উচিত
রোজা ফরজ হওয়ার শর্তগুলো হলোঃ
- মুসলিম হওয়া।
- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া (বালেগ)।
- সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া।
- শারীরিকভাবে রোজা রাখার সামর্থ্য থাকা।
যারা অসুস্থ, ভ্রমণরত, গর্ভবতী, সন্তানকে দুধ পান করানো মা বা অন্য কোনো শরীয়তসম্মত কারণ রয়েছে, তাদের জন্য রোজা রাখা শিথিল করা হয়েছে। তবে তারা পরে কাজা (কাফফারা) হিসেবে রোজা রাখবেন।
শেষ কথা
রোজা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং আত্মশুদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।