ইসলাম

রোজার সুন্নত কয়টি

রোজার বেশ কিছু সুন্নত আমল রয়েছে, যা পালন করলে রোজার সওয়াব ও বরকত আরও বৃদ্ধি পায়।রোজার সুন্নত কয়টিযদিও এসব কাজ না করলে রোজা ভঙ্গ হবে না, তবে তা পালন করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ।

রোজার সুন্নত কয়টি?

রোজার প্রধান ছয়টি সুন্নত রয়েছেঃ

১. সাহরি খাওয়া

সাহরি খাওয়া সুন্নত, এবং এটি ফজরের আগে যত দেরিতে খাওয়া যায়, ততই উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “সাহরিতে বরকত রয়েছে, তাই তোমরা সাহরি খাও।” (সহিহ বুখারি: ১৯২৩, সহিহ মুসলিম: ১০৯৫)।

২. ইফতার দ্রুত করা

সূর্যাস্তের পর দেরি না করে দ্রুত ইফতার করা সুন্নত। হাদিসে এসেছেঃ “মানুষ যতক্ষণ দ্রুত ইফতার করতে থাকবে, ততক্ষণ তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।” (সহিহ বুখারি: ১৯৫৭, সহিহ মুসলিম: ১০৯৮)

৩. খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা

রাসুল (সাঃ) সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, না থাকলে পানি দিয়ে ইফতার করতেন। হাদিসে এসেছেঃ “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কয়েকটি পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি তা না পেতেন তবে শুকনো খেজুর, আর তাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি পান করতেন।” (আবু দাউদ: ২৩৫৬)

৪. রোজা অবস্থায় অনর্থক কথা ও ঝগড়া-বিবাদ এড়ানো

রোজার মূল উদ্দেশ্য আত্মসংযম, তাই মিথ্যা বলা, গালি দেওয়া, ঝগড়া করা ও খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকা সুন্নত।

৫. মিসওয়াক করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা

রোজার সময় মিসওয়াক করা সুন্নত এবং এটি মুখ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি রোজার সওয়াবও বৃদ্ধি করে।

৬. ইফতারের সময় দোয়া পড়া

ইফতারের সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া পড়তেনঃ “اللهم لك صمت وبك آمنت وعليك توكلت وعلى رزقك أفطرت”
(উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমান্তু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু)

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।

শেষ কথা

রোজা শুধু না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি আত্মসংযম ও আল্লাহর ইবাদতের অন্যতম একটি মাধ্যম। সুন্নতসমূহ পালনের মাধ্যমে রোজার পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা যায়। তাই আমাদের উচিত রোজার সুন্নতগুলো পালন করে আরও বেশি সওয়াব অর্জন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button