শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে
শবে কদর হলো ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ রাত, যা রমজান মাসের শেষ দশকে বিশেষভাবে অনুসন্ধান করা হয়। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম বলে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে (সূরা আল-কদর, আয়াত ৩)।
তাই মুসলমানরা এই রাতে বিশেষ নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তিগফার করে থাকেন। শবে কদরের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিতরের আগে বা পরে পড়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেন।সাধারণত তাহাজ্জুদ নামাজ বিতরের আগে পড়া উত্তম, কারণ বিতর নামাজ দিনের শেষ নামাজ হিসেবে পরিচিত। তাই কেউ যদি রাতে দেরিতে তাহাজ্জুদ পড়ার ইচ্ছা করেন, তবে তিনি বিতর নামাজ শেষের দিকে পড়তে পারেন।
অনেকে এশার নামাজের সঙ্গে তারাবিহ ও বিতর আদায় করে নেন এবং পরে রাতের শেষ অংশে আরও নফল নামাজ পড়েন। এক্ষেত্রে বিতর পুনরায় পড়ার প্রয়োজন নেই, বরং তিনি অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়তে পারেন।
তবে কেউ যদি বিতর না পড়ে থাকেন, তাহলে তাহাজ্জুদের পর বিতর আদায় করাই উত্তম। সব মিলিয়ে, শবে কদরের ইবাদতের জন্য বিতরের আগে বা পরে নামাজ আদায়ের সুযোগ রয়েছে, তবে সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো শেষ রাতে তাহাজ্জুদ ও এরপর বিতর নামাজ আদায় করা।
শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে?
শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে এবং পরে দুইভাবেই পড়া যায়। তবে সাধারণভাবে নিয়ম হলোঃ
১. বিতরের আগে
আপনি যদি রাতে আরও নফল নামাজ পড়তে চান, তাহলে তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল নামাজ শেষ করে বিতর পড়বেন।
২. বিতরের পরে
আপনি যদি বিতরের পর কোনো নফল নামাজ পড়তে না চান, তাহলে বিতর নামাজ আদায় করে নিতে পারেন।
অর্থাৎ যদি নিশ্চিত থাকেন যে রাতের শেষ ভাগে আরও নামাজ পড়বেন, তাহলে বিতর দেরিতে পড়াই উত্তম। তবে যদি শবে কদরের নামাজ পড়ার পর আর জাগতে না চান, তাহলে বিতর আগে পড়ে নিতে পারেন।