ইসলাম

শবে কদরের নামাজের নিয়ম

শবে কদরের নামাজ ইসলামে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এটি রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে পালন করা হয়।শবে কদরের নামাজের নিয়মএই নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকাত সংখ্যা নেই, তবে সাধারণত ৮ থেকে ১২ রাকাত নামাজ পড়া হয়।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম?

নিচে শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ

১. নিয়ত (ইচ্ছা)

শবে কদরের নামাজের জন্য নিয়ত করা। নিয়ত মনে মনে বা মুখে বলতে পারেনঃ আমি আল্লাহর জন্য শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম।”

২. রাকাত সংখ্যা

সাধারণত ২ রাকাত করে নামাজ পড়া হয়। মোট ৮, ১০ বা ১২ রাকাত পড়া যেতে পারে। প্রতি ২ রাকাতের পর সালাম ফিরাতে হয়।

৩. কিরাত (কোরআন তিলাওয়াত)

প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সূরা বা আয়াত পড়া যায়। সাধারণত সূরা ইখলাস, সূরা কদর বা অন্য ছোট সূরা পড়া হয়।

৪. দোয়া ও ইস্তিগফার

নামাজ শেষে দীর্ঘ সময় দোয়া, ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) এবং কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। বিশেষ করে শবে কদরের রাতে বেশি পরিমাণে দোয়া করা মুস্তাহাব।

৫. সালাতুত তাসবিহ

কিছু মানুষ শবে কদরের রাতে সালাতুত তাসবিহ পড়েন। এটি একটি বিশেষ নামাজ, যাতে প্রতি রাকাতে বেশ কিছু তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পড়া হয়।

শবে কদরের নামাজের ফজিলত?

  • এই রাতটি কোরআন নাজিলের রাত, যা লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত।
  • এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম (সূরা কদর, আয়াত ৩)।
  • এই রাতে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ

  • শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজান) বেশি ইবাদত করা উচিত।
  • নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে রাত জাগরণ করা মুস্তাহাব।

বিঃদ্রঃ

শবে কদরের নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং গুনাহ মাফের সুযোগ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button