ইসলাম

শবে কদরের নামাজ কখন পড়তে হয়

ইসলামে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ রাত। এই রাতকে আল্লাহ তাআলা কুরআনে ‘হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’ বলে ঘোষণা করেছেন।শবে কদরের নামাজ কখন পড়তে হয়শবে কদরের সঠিক তারিখ নির্দিষ্ট না থাকলেও সাধারণত রমজান মাসের শেষ দশ রাতের বিজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) এটি অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।

এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করলে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এই রাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে একটি হলো নামাজ আদায় করা।

শবে কদরের নামাজ কখন পড়তে হয়?

শবে কদরের নামাজ এশার নামাজের পর থেকে ফজরের আজানের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় পড়া যায়। তবে রাতের শেষ অংশ, বিশেষ করে শেষ তৃতীয়াংশ (তাহাজ্জুদের সময়), সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়।

কারণ এই সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং দোয়া কবুল করেন। শবে কদরের নামাজ নফল ইবাদত হিসেবে দুই রাকাত করে যত ইচ্ছা পড়া যায়।

এছাড়াও বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, দরুদ পাঠ এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উত্তম।

শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম?

১. নফল নামাজ

দুই রাকাত করে যত ইচ্ছা পড়া যায়। সাধারণত ৮, ১০ বা ১২ রাকাত পড়া হয়।

২. কুরআন তিলাওয়াত

বেশি বেশি কুরআন পড়া উত্তম।

৩. দোয়া ও ইস্তিগফার

আল্লাহর কাছে গুনাহের ক্ষমা চাইতে হবে।

৪. দরুদ শরিফ

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উত্তম।

বিশেষ দোয়া

শবে কদরে বেশি বেশি এই দোয়াটি পড়তে বলা হয়েছেঃ

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

আরবি উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু’আন্নি।

আরও পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের দোয়া

বাংলা অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।

বিঃদ্রঃ

এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম সওয়াব পাওয়া যায়, তাই বেশি বেশি নামাজ, দোয়া ও ইবাদতে মনোযোগী হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button