পিএইচডি করার যোগ্যতা কি | পিএইচডি করতে কত বছর লাগে
সবাই জীবনে কিছু না কিছু করার স্বপ্ন দেখে থাকে। আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক কিংবা অন্য কোন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তাহলে আপনাকে নিশ্চয় পিএইচডি কমপ্লিট করতে হবে।কিন্তু PhD কমপ্লিট করার আগে PhD সংক্রান্ত বেসিক তথ্য গুলো আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। যেমনঃ PhD কি, পিএইচডি এর পূর্ণরুপ কি, PhD কত বছরে কোর্স, PhD করতে কত খরচ হবে ইত্যাদি।
PhD এর পূর্ণরূপ কি?
PhD এর পূর্ণরূপ হল ডক্টর অব ফিলোসফি (Doctor of Philosophy)। পিএইচডিকে ডক্টরেট ডিগ্রি বলা হয়। অক্সফার্ড উনিভার্সিটি সহ আর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি করা যায়। PhD কে DPhil বলা হয়।
PHD কি?
PhD হল একটি উচ্চ স্তরের শিক্ষাগত ডিগ্রী। মাস্টার্স অথবা ব্যাচেলর ডিগ্রি কমপ্লিট করার পরেই আপনি PhD করতে পারবেন। যে ব্যক্তি PhD কমপ্লিট করে তার নামের আগে ডক্টর (Dr.) উপাধিটি যুক্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক অথবা অন্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করার জন্য এই ডিগ্রিটির প্রয়োজন হয়।
পিএইচডি করতে কত বছর লাগে?
সাধারণত পিএইচডি কমপ্লিট করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। তবে পিএইচডি কমপ্লিট করার জন্য কোন নিদিষ্ট সময় সীমা থাকে না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে সেই দেশের উপর যে দেশে আপনি পড়াশোনা করছেন।
কোন কোন বিষয়ের উপর পিএইচডি করা যায়?
আপনি নিজের পছন্দ মতো যেকোন বিষয়েই পিএইচডি করতে পারেন। তবে পিএইচডি করার জন্য কয়েকটি কমন বিষয় হলঃ
- বাংলা
- ইংরেজি
- রসায়ন
- পদার্থবিদ্যা
- বায়োলজি
- প্রাণিবিদ্যা
- সার্জারি
- ইতিহাস
- ভূগোল
- সায়েন্স
- একাউন্টিং ইত্যাদি।
পিএইচডিতে ভর্তির যোগ্যতা?
পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে এমফিল পাস অথবা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি কিংবা তিন বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
প্রার্থীদের সব পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। সিজিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক/সমমান থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ৩.৫ অথবা সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩ অবশ্যই থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স থেকে আয়
এছাড়াও তিন বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনকারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
অথবা কোন স্বীকৃত মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই বছরের গবেষণাসংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অথবা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তাছাড়া প্রার্থীদের স্বীকৃত মানের জার্নালে প্রকাশিত কমপক্ষে দুটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে। এছাড়া কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ক্ষেত্রে অন্তত একটি গবেষণা প্রকাশনা একক নামে হতে হবে।
পিএইচডি করার যোগ্যতা কি?
পিএইচডি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের দুই বছরের স্নাতকোত্তর অথবা এম ফিল ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীর অবশ্যই স্নাতকোত্তর বা এম এ ৫৫% নম্বর বা সমমানের গ্রেড পেতে হবে।
পিএইচডি ডিগ্রী করতে কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। মাস্টার্স সম্পূর্ণ করতে হবে। জি.আর.ই (Graduate Record Examination) পরীক্ষায় ভাল স্কোর করুন (আমেরিকার ক্ষেত্রে)। এছাড়াও IELTS / TOEFL পরীক্ষার ভাল স্কোর করুন।
আরও পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা আয় app
পিএইচডি করার খরচ?
এই প্রশ্নটা বেশিরভাগ বিদ্যার্থীর মাথার মধ্যে ঘোরে। যে PhD করার জন্য কত টাকার প্রয়োজন হবে। তবে এই প্রশ্নটার কোন নিদিষ্ট উত্তর নেই। কারণ এটি সম্পূর্ণ সেই বিশ্ববিদালয়ের ওপর নির্ভর করে থাকে। যে বিশ্ববিদালয়ে আপনি PhD করতে চাচ্ছেন।
সাধারণত বেসরকারি বিশ্ববিদালয়ের থেকে সরকারি বিশ্ববিদালয় গুলোতে তুলনামূলকভাবে কম খরচ হয়। তবে সরকারি বিশ্ববিদালয়ে মেধাবী ও পরিশ্রমী বিদ্যার্থীরাই PhD করার সুযোগ খুব বেশি পায়।
PhD এর আরো কিছু পূর্ণরূপ?
- Potential Heavy Drinker
- Psychology and Human Development
- Plant Homeodomain
- Professional Help Desk
- Pure Hard Dance
- Portable Hard Drive
- Piled Higher and Deeper
- Professional Hair Dresser
- Pocket Hard Disk
- Portable Hard Disk
আরও পড়ুনঃ ১০০ টাকা ডিপোজিট সাইট
পিএইচডি করার কি নির্দিষ্ট কোন বয়স আছে?
না! পিএইচডি করার কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। আপনার যদি যোগ্যতা থাকে। আপনি ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সেও পিএইচডি করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি অল্প বয়সে পিএইচডি করেন। তাহলে অনেক ধরনের সুবিধা পেতে পারেন নির্দিষ্ট কিছু চাকরির ক্ষেত্রে।