অর্থনীতি

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

মুদ্রা বিনিময় হার (Exchange Rate) হলো এক দেশের মুদ্রার বিপরীতে অন্য দেশের মুদ্রার মান। এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়।আজকের মুদ্রা বিনিময় হারএবং এর ওপর অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ প্রভাব ফেলে। আজকের (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মুদ্রা বিনিময় হার ও তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলোঃ

Currency.Wiki

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার?

নিচে আজকের মুদ্রা বিনিময় হার তুলে ধরা হলোঃ

মুদ্রার নামবাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার১২১ টাকা ৯৯ পয়সা
ইউরো১৩২ টাকা ৭২ পয়সা
সৌদি রিয়াল৩২ টাকা ৪০ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার৭৭ টাকা ১৪ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত২৭ টাকা ৩৩ পয়সা
সিঙ্গাপুরি ডলার৯১ টাকা ৪৩ পয়সা
পাউন্ড১৫৭ টাকা ৭৭ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার৮৪ টাকা ৮৮ পয়সা
কুয়েতি দিনার৩৯৪ টাকা ৫৭ পয়সা
ভারতীয় রুপি১ টাকা ৪০ পয়সা
বিঃদ্রঃ মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।

মুদ্রা বিনিময় হার (Exchange Rate) কী?

মুদ্রা বিনিময় হার হল একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে অন্য দেশের মুদ্রার মূল্য বা বিনিময় হার। সহজভাবে বললে, এটি সেই হার যা অনুযায়ী এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তরিত হয়।

আরও পড়ুনঃ কি গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়

উদাহরণঃ

যদি ১ মার্কিন ডলার = ১২১.৮৬ বাংলাদেশি টাকা হয়, তাহলে এর অর্থ হলো ১ ডলার পেতে হলে ১২১.৮৬ টাকা দিতে হবে। আবার যদি ১ ভারতীয় রুপি = ১.৩৮ বাংলাদেশি টাকা হয়, তাহলে ১ রুপি কিনতে ১.৩৮ টাকা লাগবে।

মুদ্রা বিনিময় হারের ধরন?

১. ফিক্সড এক্সচেঞ্জ রেট (Fixed Exchange Rate)

এটি তখন ঘটে যখন একটি দেশের সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার স্থির করে রাখে। যেমনঃ কিছু দেশ তাদের মুদ্রার হার মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থির করে রাখে (যেমনঃ সৌদি আরব)।

২. ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট (Floating Exchange Rate)

এটি তখন ঘটে যখন বাজারের চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তিত হয়। অধিকাংশ দেশের মুদ্রা ফ্লোটিং রেটে চলে, যেমনঃ বাংলাদেশি টাকা, মার্কিন ডলার, ইউরো ইত্যাদি।

৩. ম্যানেজড ফ্লোট (Managed Float)

কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হস্তক্ষেপ করে, যাতে মুদ্রার মান অতিরিক্ত ওঠানামা না করে। বাংলাদেশ এই পদ্ধতি অনুসরণ করে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন হলে বাজারে ডলার সরবরাহ করে বা কিনে নেয়।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম

মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের কারণ?

১. যোগান ও চাহিদা

যদি একটি মুদ্রার চাহিদা বেশি হয়, তাহলে তার দাম বেড়ে যায়। যদি চাহিদা কমে যায়, তাহলে বিনিময় হার কমে যায়।

২. বৈদেশিক বাণিজ্য

রপ্তানি বাড়লে স্থানীয় মুদ্রার চাহিদা বাড়ে, ফলে টাকার মান বাড়তে পারে। আমদানি বেশি হলে বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বাড়ে, ফলে টাকার মান কমতে পারে।

৩. মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)

একটি দেশে যদি মুদ্রাস্ফীতি বেশি হয়, তাহলে মুদ্রার মান কমে যায়।

৪. সুদের হার (Interest Rate)

যদি কোনো দেশের সুদের হার বেশি হয়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে, ফলে মুদ্রার মান বাড়ে।

৫. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা

একটি দেশের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হলে বিনিয়োগকারীরা সে দেশের মুদ্রায় বিনিয়োগ করে, ফলে মুদ্রার মান বাড়তে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

মুদ্রা বিনিময় হার আমাদের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে?

আমদানি ও রপ্তানি

যদি ডলারের দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানিকারকদের জন্য খরচ বেড়ে যাবে। রপ্তানিকারকদের জন্য এটি ভালো কারণ তারা বেশি টাকা পাবে।

বিদেশে পড়াশোনা ও ভ্রমণ

বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা বা ভ্রমণ করলে বেশি বিনিময় হার হলে খরচ বেড়ে যায়।

প্রবাসী আয় (Remittance)

প্রবাসীরা যদি বিদেশ থেকে ডলার বা সৌদি রিয়াল পাঠান এবং তাদের বিনিময় হার বেশি হয়, তাহলে তারা দেশে বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন।

ব্যাংক ও বিনিয়োগ

বিনিয়োগকারীরা বিনিময় হারের ওঠানামা দেখে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করেন।

আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম

কোথায় মুদ্রার বিনিময় হার জানা যাবে?

আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিদিনের বিনিময় হার জানতে পারেনঃ

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট
  • বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ অফিস
  • ফরেক্স মার্কেট আপডেট
  • অনলাইন সংবাদমাধ্যম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button