ফরজ রোজার কাফফারা
ফরজ রোজার কাফফারা হলো রমজান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী যে প্রায়শ্চিত্ত বা শাস্তিস্বরূপ কাজ করতে হয়। রোজার কাফফারা মূলত ইসলামের ন্যায়বিচার ও রহমতের প্রতিফলন।এটি মানুষকে সচেতন করে তোলে এবং রোজার গুরুত্ব ও পবিত্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাফফারার বিধান পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং নিজের গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে।
ফরজ রোজার কাফফারা?
ফরজ রোজার কাফফারা হলো কোনো ব্যক্তি যদি রমজান মাসের রোজা বিনা কারণে ভঙ্গ করেন, তবে তাকে শাস্তিস্বরূপ নির্দিষ্ট কাফফারা আদায় করতে হবে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, রোজার কাফফারার জন্য তিনটি বিকল্প আছেঃ
১. একটানা দুই মাস (৬০ দিন) রোজা রাখা
যদি কেউ বিনা ওজরে রমজানের রোজা ভেঙে ফেলেন, তাহলে তাকে টানা ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে।
২. ৬০ জন গরিবকে খাওয়ানো
যদি কেউ টানা ৬০ দিন রোজা রাখতে অক্ষম হন, তবে তাকে ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে।
৩. একজন দাস মুক্ত করা
ইসলামের প্রাথমিক যুগে এটি ছিল কাফফারার একটি বিকল্প, তবে বর্তমানে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে (ভুলে) রোজা ভেঙে ফেলেন, তবে কাফফারা লাগবে না, শুধু কাজা করতে হবে।
অসুস্থতা, সফর বা বিশেষ কারণে রোজা ভঙ্গ করলে শুধুমাত্র কাজা (ভঙ্গ হওয়া রোজা পরবর্তীতে রাখা) করতে হবে, কাফফারা লাগবে না।
শেষ কথা
আপনি যদি কাফফারা আদায়ের নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, তবে স্থানীয় ইসলামিক স্কলার বা মুফতির পরামর্শ নেওয়া ভালো।